মালদহে ভারতের আইন চলে না: সায়ন্তন, প্রলাপ বকছেন: পাল্টা পুর প্রশাসক

মালদহের কিছু এলাকায় ভারতের আইন চলে না বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু। বুধবার, মালদহে দুটি জায়গায় ‘চায়ে পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। তবে মালদহের কোন জায়গায় এ দেশের আইন চলে না সেই নাম তিনি বলতে চাননি।

এরপরেই সায়ন্তন অভিযোগ করেন, একটি চক্র মালদহে থেকে ক্রমশ বেআইনি কাজ করছে। তাতে শাসকদলের মদত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশে রপান্তরের চেষ্টা চলছে এবং তা রুখতেই বিজেপিকে মালদহে আনা দরকার। এদিন বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, আমজনতার সঙ্গে কথা বলবেন সায়ন্তন বসু। কিন্তু বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই কথাবার্তা বলে চায়ে-পে চর্চা কর্মসূচি সারতে হয় দলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসুকে। মালদহের মঙ্গলবাড়ি ও চৌরঙ্গী মোড়ে দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মালদহকে বাঁচানোর ডাক দেন তিনি। সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে শাড়ি পরা হিটলার বলেও কটাক্ষ করেছেন। সে জন্য বিজেপিকে ক্ষমতাসীন করার জন্য সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন:কে কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে সব জানি, সারা বাংলায় আমিই পর্যবেক্ষক: মমতা

ওই দুটি চায়ে পে চর্চা থেকে আগামী ৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানে সকলকে সামিল হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। পরে সায়ন্তনবাবু জানান, গত ১০ বছরে মালদহে কেন একটিও শিল্প স্থাপন হয়নি সেই প্রশ্নের জবাব পেতেই উত্তরকন্যায় যেতে হবে সকলকে।

সায়ন্তন বসুর বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে মন্তব্য করেছেন পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ। তিনি জানান, মালদহের কিছু এলাকা ভারতের বাইরে এবং সেখানে দেশের আইন চলে না বলে অভিযোগ করে তিনি বাসিন্দাদের অপমান করেছেন। সেই অপমানের জবাব আগামী ভোটে বাসিন্দারা দেবেন বলেও জানিয়ে দেন তিনি। কার্তিকবাবু জানান, একটা জায়গায় নানা সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করেন এবং একে অন্যের পরবে, উৎসবে মেতে ওঠেন। পুরসভার প্রশাসকের অভিযোগ, এটাই সায়ন্তনবাবুদের সহ্য হচ্ছে না বলে তাঁরা মালদহকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বলে বিভেদের রাজনীতি করে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন।

Previous articleকে কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে সব জানি, সারা বাংলায় আমিই পর্যবেক্ষক: মমতা
Next articleপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে