কাল বনধের বিরোধিতা কেন, জানিয়ে দিল তৃণমূল

কাল বামেদের ডাকা ধর্মঘটে বিরোধিতা করছে তৃণমূল। কেন বিরোধিতায় করছে? তাঁরা কী বলছেন জেনে নিন।

আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সব ধরনের জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, গরিব খেটে-খাওয়া মানুষ বিরোধী, দেশবিরোধী ও বিলগ্নীকরণ, বেসরকারিকরণ, কর্পোরেটকরণ – এর মাধ্যমে দেশ বিক্রির সমস্ত নীতির বিরুদ্ধে, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আমাদের জননেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও নেতৃত্বে আমরা ২০১৯ সালের জুন-জুলাই মাস থেকেই সংসদের ভেতরে, সংসদের বাইরে, রাস্তায়, ময়দানে, কারখানার গেটে, হেড অফিসে, কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আমাদের আন্দোলন – সংগ্রাম – লড়াই – অবস্থান – অনশন – মিটিং-মিছিল জারি রেখেছি ।

শ্রমিকদের অধিকার হরণকারী শ্রমিক কোড আমরা মানি না। ওরা গায়ের জোরে অর্জিত অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছে, বাংলায় সর্বশক্তি দিয়ে আমরা তা রুখে দিতে সদা সচেষ্ট ।

আগামী ২৬ নভেম্বর ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের (আইএনটিটিইউসি) তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের বক্তব্য এই যে, আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটি না । আমরা সবকিছু সচল রেখে প্রতিবাদ সংগ্রাম করি ।

এক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত জনবিরোধী শ্রমিক বিরোধী নীতি ও অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আমরা অন্যান্য দিনের মতো, সারা বছরের মতোই ২৬ নভেম্বর মিটিং মিছিলে শামিল থাকবো। অবশ্যই থাকবো প্রতিবাদে বিরোধিতায় সংগ্রামে। কিন্তু সকলকে আবেদন করব, বিশেষ করে করোনার এই পরিস্থিতিতে, লকডাউন-এর কারণে যখন আর্থিকভাবে অনেক পিছিয়ে আছি আমরা, অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হতে বাকি আমাদের দেশ, তখন আমাদের দেশকে বাঁচাতে, দেশবাসীকে বাঁচাতে একটা দিনের জন্য কেন, একটা ঘন্টার জন্যও ধর্মঘট করা আমাদের উচিত হবে না ।

তাই, সবকিছু সচল রেখে আমরা অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরোধিতা করব, প্রতিবাদ করব, মিটিং মিছিল করব । কিন্তু, না, আমরা ধর্মঘট করব না । আপনাদের সকলকে আবেদন, চাকা ঘুরবে, ধোঁয়া উড়বে, সবকিছু চলবে। আসুন, শ্রমিক কর্মচারী বন্ধুরা সব খোলা রেখে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যায়ের এবং জনবিরোধী দেশবিরোধী নীতির বিরোধিতায় সোচ্চার হই।

 

Previous articleমে মাসের পর তৃণমূলের নেতারা জেলে থাকবেন, বীরভূম থেকে হুঁশিয়ারি দিলীপের
Next articleরাজনৈতিক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শিমুলিয়া