মে মাসের পর তৃণমূলের নেতারা জেলে থাকবেন, বীরভূম থেকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

সিউড়িতে চা-চক্রে গিয়ে বুধবার সকালে বাংলাকে দ্বিতীয় কাশ্মীর বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর ঠিক পর সিউড়িতে জনসভায় আরও একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেন দিলীপ। জনসভা থেকে এদিন সরকারি টাকা চুরি করার অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিলেন, মে মাসের পর থেকে বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা সব জেলে থাকবেন।

বুধবার বীরভূমের জনসভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাংলায় এই দিদিমনির সরকার যতদিন থাকবে কৃষকরা সুবিধা পাবেন না। গরিবরা স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন না, কেউ লোন পাবেন না, বাড়ির টাকা পাবেন না শৌচালয়ের টাকা পাবেন না। সব ছেড়ে ফাঁক করে দিচ্ছে।’ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার শৌচালয় তৈরীর জন্য ১০ হাজার টাকা দেয়। এই সরকারের ৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। সব মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার টাকা। এই টাকাটা পেলে একটা পাকা শৌচালয় হয়। তবে পুরো টাকা পাচ্ছে না কেউ।’

পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ বলেন, আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। মে মাসের পর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা জেলে থাকবেন। তিনি বলেন তৃণমূলের ছোট নেতারা দমদম জেলে থাকবেন। আর মন্ত্রী সাংসদদের জগন্নাথ দেখতে ভুবনেশ্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই জনগণের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এখানে হয়তো অনেকের বাড়িতে শৌচালয় তৈরি হয়েছে। কেউ ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন কি? ওই টাকা থেকে হাজার ২ হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই সরকার টাকা দিচ্ছে না। এবার বলুন শৌচালয়ের সাইজ কত বড় হবে? দেওয়াল দিতে গেলে ছাদে নেই, ছাদ দিতে গেলে দরজা নেই। এইটুকু শৌচালয় তার এইটুকু দরজা।’ এরপর নাম না করে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘এখানকার তৃণমূল জেলা সভাপতি যদি ওর ভেতরে ঢুকতে যান, ঢুকতে পারবেন? ওই মোটা লোকটা পারবে? যদি ঠেলাঠেলি করে ঢোকেও, বের হতে পারবেন না। হাত ধরে টেনে বের করতে হবে। তার ভাইরা টাকা খেয়ে নিয়েছে তাই শৌচালয়ের সাইজ ছোট হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে

এরপরই অতীতের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে এনে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আপনারা জানেন পঞ্চায়েতে আমাদের মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। সাতদিন ধরে বিডিও অফিস ঘিরে রেখেছিল গুন্ডারা। যেখানে গেছে মার খেয়েছে। হাত-পা ভেঙে দিয়েছে আমাদের কর্মীদের। একটা ব্লকে শুধুমাত্র লোকজন নিয়ে নমিনেশন ফাইল করিয়েছিলাম। ওই ব্লকে ৮০টা পঞ্চায়েত সিট জিতেছি আমরা। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া পঞ্চায়েত জিতেছে তারা আজ পঞ্চায়েতের টাকা লুট করছে। ১০ বছর আগে এই লোকগুলো ভাঙা সাইকেল নিয়ে রাস্তায় চলত। একটা বিড়ি অর্ধেক খেয়ে নিভিয়ে কানে গুঁজে রাখত। আজ তারা নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। মুখ থেকে গোল গোল সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে। কার পয়সায়? সব এই পঞ্চায়েতের ঝাড়া পয়সায়। জনগণের পয়সায় বালি খাদানের পয়সা, কয়লা খাদানের পয়সা। আমাদের টাকা, স্কুলের টাকা, জলের টাকা, বিদ্যুতের টাকা সব ঝেড়ে এইসব করছে।’

Previous articleপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
Next articleকাল বনধের বিরোধিতা কেন, জানিয়ে দিল তৃণমূল