কিষাণ সম্মান বিধি থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করছে একটি রাজ্য, মোদির নিশানায় বাংলা

“একটি রাজ্যে কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্প এখনও চালু হয়নি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই রাজ্যেও এই প্রকল্প চালু করা হবে”, নাম না করে বাংলাকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী নীতি ও বিলের প্রতিবাদে যখন উত্তাল রাজধানী দিল্লি, ঠিক তখনই বারাণসীতে মোদির এমন বক্তব্য খুব তাৎপর্যপূর্ণ। এবং সবকিছু ছেড়ে নিশানায় সেই বাংলা। যদিও তিনি একবারের জন্যও পশ্চিমবঙ্গের নামটি মুখে আনেননি। আজ, সোমবার বারাণসীতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধনে এসে এমন মন্তব্য করেন মোদি।

তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি করতে কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে একটি রাজ্যে। এই প্রকল্পে
বছরে তিন বার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়।
এভাবে বছরে ১ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয় দেশের কৃষকদের। ওই প্রকল্প চালু না করায় ওই রাজ্যে বঞ্চিত হচ্ছেন লাখ লাখ কৃষক। এর জন্য দায়ী ওই রাজ্যের সরকার। সেখানে কৃষকদের মধ্যে ভয় ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে রাজধানী দিল্লি এখন কৃষকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল। দিল্লিতে কার্যত অচলাবস্থা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছুটা পিছু হটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার দিল্লির বাড়িতে বৈঠক করেন।

দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হলেও কৃষকপক্ষ তাতে সন্তুষ্ট নয়। সরকার যেন আগে থেকেই কোনও শর্ত আরোপ না করে, এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সব মিলিয়ে
কিছুতেই দমছে না বিক্ষোভ।

কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আজ, সোমবার তিনি টুইটে মন্তব্য করেন, “মোদি ও অমিত শাহ কথা দিয়েছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেবেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে অন্তত ২০২৮ সালের মধ্যেও সেটা হবে না। এ দিকে বাস্তব হল, গত ৯ বছরের মধ্যে দিদির বাংলায় কৃষকদের রোজগার আগের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে!”

Previous articleসড়ক প্রকল্পের সূচনায় নয়া কৃষি আইনের সমর্থনেও জোরালো সওয়াল মোদির
Next articleকৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতায় এসএফআইয়ের মিছিল