রাতারাতি কোটিপতি মালদহের এক দিনমজুর, রয়েছেন আতঙ্কে

৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি মালদহের এক দিনমজুর। এমন ভালো খবরের মাঝেও সম্ভাব্য বিপদের ভয়ে ঘুম উড়েছে রতুয়া-২ ব্লকের আড়াইডাঙা গ্রামের দিনমজুর দানেশ আনসারির। আত্মগোপন করেছেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। গিয়েছেন পুলিশের কাছেও।

কিন্তু কেন?

তাঁর আতঙ্কে থাকার কারণ তিনি নিজেই জানিয়েছেন। দানেশ বলেন, “এত টাকা পেয়ে যেমন আনন্দ পেয়েছি, সঙ্গে আতঙ্কে আছি। অনেক দুষ্ট চক্র এই টাকার জন্য আমাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই পুলিশের সাহায্য চেয়েছি।” অজানা বিপদের আতঙ্ক চেপে বসেছে দানেশের মনে। তাই সপরিবার চলে গিয়েছেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তাঁদের পরামর্শে দ্বারস্থ হয়েছেন পুকুরিয়া থানার পুলিশের কাছে।

প্রতিদিন সকালে কাজের খোঁজে রতুয়া থেকে মালদহ শহরে যান দানেশ। তাঁর রোজগারেই সংসার চলে। দুই মেয়ে এক ছেলে আর স্ত্রী মিলিয়ে পাঁচ জনের পরিবার। টালির চালের বাড়ি। তবে তিন সন্তানের পড়াশোনার খরচ, আর পরিবারে কিছুটা সুদিনের আশায় মাঝে মধ্যে কিনতেন লটারির টিকিট। সম্প্রতি অতিরিক্ত রোজগারের জন্য বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে হবিবপুর ব্লকের পাকুয়াহাটে রাজমিস্ত্রির জোগানদারের কাজ পেয়ে সেখানেই থাকতেন দানেশ। সেখান থেকেই কেটেছিলেন ৩০ টাকার টিকিট। আর তাতেই খুলে গিয়েছে ভাগ্য। তাঁর টিকিটের নম্বরই জিতেছে ১ কোটি টাকার পুরস্কার। দানেশ জানান, ২৬ নভেম্বর মর্নিং লটারির টিকিট কাটেন তিনি। শুক্রবার হবিবপুর থেকে রতুয়ায় বাড়িতে ফেরেন। নিজে জানতেনও না লটারিতে কোটি টাকা পাওয়ার কথা। শনিবার তাঁরই এক বন্ধু এই খবর দেন তাঁকে।

তিনি এই টাকা কী করবেন? উত্তরে দানেশ জানান, “তিন ছেলেমেয়েরই পড়াশোনার জেদ শুরু থেকেই। কিন্তু এই অভাবের সংসারে ওদের পড়াশোনা একেবারে হচ্ছিল না। এবার ওদের উচ্চশিক্ষিত করব।” কিন্তু এখন দানেশ কোটিপতি। তবে কি দিনমজুরি ছেড়ে দেবেন তিনি। এই উত্তরও পাওয়া গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে। জানিয়েছেন, “আমি খেটে খাওয়া মানুষ। দিনমজুরির কাজ ছাড়ব না।”

আরও পড়ুন-বিবাহ বার্ষিকীতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে নজির গড়লেন দম্পতি

Previous articleবিবাহ বার্ষিকীতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে নজির গড়লেন দম্পতি
Next articleকৃষক বিক্ষোভে সংহতি, লাগাতার প্রচার শুরু কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির