দিল্লির সীমানা ঘিরে রেখেছেন কৃষকরা, কাল বৈঠকের দিকে নজর সব পক্ষের

গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ৩৫ জন কৃষক নেতার ম্যারাথন বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এখনও অনড় সবকটি কৃষক সংগঠন। আইন পর্যালোচনায় কেন্দ্রের দেওয়া কমিটি গঠনের প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করেছেন কৃষক নেতারা। তাঁরা মনে করেন কমিটি গঠনের প্রস্তাব আদতে সময় কেনার চেষ্টা এবং কৃষকদের বোকা বানিয়ে আন্দোলনে জল ঢালার চক্রান্ত। গতকালের নিষ্ফলা বৈঠকের পর তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে। একইসঙ্গে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টায় আগামীকাল ফের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষক নেতারা। কালকের বৈঠকে আশাব্যঞ্জক কোনও ফল বেরিয়ে আসে কিনা সেদিকে তাকিয়ে সব পক্ষই।

গতকাল অমীমাংসিত বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানান, আমরা কৃষকদের আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ফের ৩ ডিসেম্বর আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠক চলাকালীন এক কৃষক নেতা বলেন, নতুন আইন কৃষকদের জন্য ‘ডেথ ওয়ারেন্ট’। এটি বাতিল করা ছাড়া সামনে অন্য বিকল্প নেই। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল কৃষকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, কৃষি আইন নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। কিন্তু তাতে সরাসরি ‘না’ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক নেতারা। তাঁরা বলেছেন, কোনও কমিটি নয়, কৃষি আইন বাতিল করলে তবেই তাঁরা আন্দোলন থামাবেন।

আরও পড়ুন:মাঝেরহাট ব্রিজের নাম বদলে “জয় হিন্দ ব্রিজ”, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিকে কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানী দিল্লির সবকটি সীমানা অচল করে হাজার হাজার কৃষক অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। রোজই নতুন করে আরও কৃষক যোগ দিচ্ছেন। অসুস্থতা ও প্রবল ঠাণ্ডায় দুজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। তারপরেও অদম্য জেদ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে ধরনা দিচ্ছেন কয়েক হাজার কৃষক। দিল্লিতে তাঁদের প্রবেশ আটকাতে লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে সক্রিয় পুলিশ। বুধবার এই আন্দোলন সপ্তম দিনে পড়ল। দাবি পূরণ না হলে গোটা দিল্লি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। বাম সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস) সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে সাতদিন ধরে অবরুদ্ধ ভারতের রাজধানী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এদিন কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই আন্দোলনকারী সংগঠনগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয় মোদি সরকার। তবে আপাতত তাতেও সমস্যা মিটল না।

Previous articleমাঝেরহাট ব্রিজের নাম বদলে “জয় হিন্দ ব্রিজ”, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next article২ ডিসেম্বর, বুধবারের বাজার দর