করোনা রুখতে দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিলেই দেশে করোনার সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকায় রয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে করোনা রোধে প্রথম সারির যোদ্ধারা। এই তালিকা ছাড়া আর কাদের টিকা প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তাদের। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের করোনা ভ্যাকসিনের তালিকায় রাখা হবে কিনা তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

জানা গিয়েছে, করোনার প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিন আসার পরে এমন ঘটনাও সামনে আসবে যে অনেকেই তা নিতে চাইছেন না। এমনকী অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছেন, এমন অনেকেও টিকা নিতে চাইবেন না। তাঁদেরও কাউকে এক্ষেত্রে কোনওভাবে প্রতিষেধক নিতে জোর করা হবে না। কারণ, দেশের ১৩০ কোটি মানুষকেই যে টিকা নিতে হবে এমন প্রয়োজনই নেই।”
দেশের সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া নয়, বরং সংক্রমণের ধারা রোধে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই কেন্দ্র যে করোনার টিকাকরণ অভিযান চালাবে এই বার্তা মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের তরফে মিলেছে। এদিন স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন,”সরকারের তরফে গোটা দেশের মানুষকে করোনার টীকাকরণ করা হবে এমন কথা কখনই বলা হয়নি। টিকাকরণের পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার উপর। সংক্রমণের ধারাকে রুখতে পারাই মূল কাজ।”

সব দেশবাসীকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজনই হবে না, এবং তার আগেই সংক্রমণ রোখার কাজ হয়ে যাবে বলেছেন আইসিএমআরের প্রধান ডা. বলরাম ভার্গবও। জানিয়েছেন,”আমাদের লক্ষ্য করোনাভাইরাসকে আটকানো। সেক্ষেত্রে যারা গুরুতর আক্রান্ত তাঁদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া এবং সংক্রমণের ধারাটিকে ভেঙে দেওয়া। তাহলে আর গোটা দেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।” এছাড়া যারা একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের করোনা ভ্যাকসিনের তালিকায় রাখা হবে কিনা এ প্রসঙ্গেও বলেছেন ভার্গব। বলেছেন, “নীতি আয়োগের বিনোদ পলের নেতৃত্বে ভ্যাকসিনের জাতীয় কমিটি, যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে রফাসূত্র অমিল, কৃষকদের আন্দোলন চলবে
