হলদিয়ায় মধুসুদূনের ক্ষুদিরাম স্মরণের অনুষ্ঠান নিয়ে নানা জল্পনা

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই হলদিয়ায় এক নতুন ছবি। একমঞ্চে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ এবং হলদিয়ার একদা মুকুটহীন সম্রাট লক্ষ্মণ শেঠ। সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ এখন কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণবাবুর উপস্থিতি আরও নানা জল্পনা বাড়িয়েছে। যদিও কুণাল ঘোষ বলেছেন,” এটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সব জল্পনা ভিত্তিহীন। লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে তৃণমূল নিয়ে কোনো কথা হয়নি।”

উপলক্ষ্য ছিল শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মবার্ষিকী পালন।
হলদিয়া দুর্গাচক টাউন ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজক নন্দীগ্রাম আন্দোলনখ্যাত মধুসূদন মণ্ডল ওরফে নারায়ণ। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন কুণাল এবং লক্ষ্মণবাবু। দুজনেই উপস্থিত হন দুপুরে।

মধুবাবুর মঞ্চ থেকে বিজেপির সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেন বক্তারা। মঞ্চচত্বর সজ্জিত ছিল নানা পোস্টারে। তারপর গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পদযাত্রা। কুণাল মধুবাবুকে মূলস্রোতের সমাজে মানুষের কাছে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চেতনা বৃদ্ধিতে আরও এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। কুণাল বলেন,” যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে, তাদের এজেন্টদের জায়গা দেবেন না।” কুণাল শুভেন্দুর প্রশংসা করে বলেন,” ভ্রাতৃপ্রতিম। কলকাতায় আমার প্রতিবেশী।”

আরও পড়ুন : রাজ্যে আরও বেশি বিনিয়োগ আসছে: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী

শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই হঠাৎ লক্ষ্মণ শেঠের উপস্থিতি কি ইঙ্গিতবাহী? কুণাল বলেন,” এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচি। আয়োজকরা অনেককেই ডেকেছেন। সেটা তাঁদের বিষয়।”

কুণাল বলেন,” সাংবাদিকতার সময় থেকে লক্ষ্মণদাকে চিনি। তিনি কদিন আগেই বলছিলেন অকারণে তাঁর ঘাড়ে নন্দীগ্রামের পাপ চাপানো হয়েছে। এখানে জোরজুলুম করতে তিনি বারণ করেছিলেন। কিন্তু ভুল পথে শিল্পায়নের জেদে অন্ধ মহাকরণ ও আলিমুদ্দিনের নেতারা গায়ের জোরে সর্বনাশ করেছেন। পরে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক রাখা হয়েছে।” লক্ষ্মণ শেঠ পরে বলেন,” আমি কেন আমার এলাকা ধ্বংস করব? আমি বারবার বারণ করেছিলাম। কিন্তু বুদ্ধবাবুরা শোনেননি। আমি পার্টির সৈনিক ছিলাম। রাজ্য নেতাদের পাপ আমার কাঁধে চাপানো হয়েছে।”

ভাষণে লক্ষ্মণবাবু দ্বিতীয় স্বাধীনতাযুদ্ধের ডাক দেন। তিনি বলেন,” এখন লড়াই দারিদ্রের বিরুদ্ধে।”

Previous articleবড়দিনের ঠিক আগে ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
Next articleনতুন বছরের শুরুতেই DA বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের