প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কথা কাটাকাটি। তার জেরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা যুবকের।
এই ঘটনার তিন দিনের মাথায় বুধবার রাতে উদ্ধার হয় প্রেমিকার মরদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাতলামারি গ্রামে। মৃত প্রেমিকের নাম সুমন হালদার। মৃত প্রেমিকার নাম মিনা আক্তার। তাঁরা দুজনেই একই গ্রামের বাসিন্দা ছিল।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কাতলামারী বাজারে প্রসাধনীর দোকান রয়েছে সুমন বিশ্বাসের। দোকানে আসা যাওয়ার সূত্র ধরে কলেজ ছাত্রী মিনা আক্তারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে মিনার পরিবার এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে তাকে চাপ দিতে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে মিনার সঙ্গে দেখা করতে যান সুমন। কথা বলার এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমন প্রেমিকাকে ‘গুড বাই’ বলে তার ওড়না নিয়ে চলে আসেন। পরে রাতেই ওই ওড়না গলায় পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সুমন। বিষয়টি জানতে পেরে মিনা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর বুধবার রাতে নিজের বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মিনার মরদেহ। পরিবারের সদস্যরা জানান, মিনা আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, মুসলিম পরিবারের মেয়ে মিনা আক্তার হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুমন কুমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় মেয়ের পরিবার ক্ষুব্ধ ছিল। এদিকে সুমনকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সুমনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মিনার লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে ঘটনা বিশ্লেষণ করে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন- ভাসানচরে যেতে দলে দলে ক্যাম্প ছাড়ছেন রোহিঙ্গারা
