অনুপ্রবেশের নয়া ছক, অরুণাচলের কাছে তিনটি গ্রাম তৈরি করল চিন!

পূর্ব লাদাখ নিয়ে ভারতের সঙ্গে তীব্র টানাপোড়েন ও সংঘাতের মধ্যেই অনুপ্রবেশের নয়া ছক চিনের। পূর্ব ভারতের সীমান্তলগ্ন অরুণাচল প্রদেশের কাছে অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে চিন। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতকে নতুন করে চাপে ফেলতেই চিনের এই আগ্রাসনের কৌশল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

খবরে বলা হয়েছে, বম লা পাস থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে কমপক্ষে তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে চিন। এই এলাকাটি অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে এবং ভারত, চিন এবং ভুটানের ত্রি-সংযোগের কাছে অবস্থিত। পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দখলদারির মনোভাব দেখাচ্ছে চিন। অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে তারা প্রকাশ্য বিরোধিতা চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে নতুন করে তিনটি গ্রাম গড়ে তোলার মাধ্যমে ওই অঞ্চলে চিন পাকাপোক্তভাবে নিজেদের দাবি ও অধিকার ফলাতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে। তিনটি গ্রাম গঠন আসলে চিনের দখলদারির পরিকল্পনা কার্যকর করারই একটি অংশ।

আরও পড়ুন:অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

এই বিষয়ে কৌশলগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্রহ্ম চেল্লানি বলেন, চিন তার আঞ্চলিক দাবি জোরদার করতে পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে। এই কারণে চিনা প্রশাসন হ্যান চাইনিজ গোষ্ঠী এবং কমিউনিস্ট পার্টির তিব্বতি সদস্যদের ভারতীয় সীমান্তে ব্যবহার করছে। এই অংশের মানুষকে ব্যবহার করে চিন ভারত ভূখন্ডের সীমান্ত এলাকার সঙ্গে ভাষা ও সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে নিজেদের দখলদারির নীতি কায়েম করতে চায়। ব্রহ্ম চেল্লানি বলেন, এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরে যেমন জেলেদের ব্যবহার করেছিল শি জিনপিংয়ের দেশ, একইভাবে অরুণাচলের ক্ষেত্রে হ্যান চিনা ও তিব্বতিদের ব্যবহার করতে চায়। এর আগে ভুটানের দুই কিলোমিটার ভিতরে গোপনে চিন গ্রাম তৈরি করেছে বলে খবর এসেছিল। এবারে অনুপ্রবেশ খোদ ভারতের অরুণাচলে। এই ঘটনায় সরকারি স্তরে দুদেশের পক্ষ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে, এখন তারই অপেক্ষা।

Previous articleঅভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
Next article‘পথ মসৃণ নয় কাঁটা বিছানো, তবু বামপন্থাই বিকল্প!’ ঘরে ফিরেই স্বমহিমায় সুশান্ত