দলীয় কর্মী মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘন্টা উত্তরবঙ্গ বনধ, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

ঠিক দু’মাস আগের নবান্ন অভিযান প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে। বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। বিজেপির অভিযানে বাধা দিলেই পুলিশকে করে ইটবৃষ্টি, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, অগ্নিসংযোগ! পাল্টা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ করল পুলিশ। অবরুদ্ধ শিলিগুড়ি। উত্তেজনা চরমে। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে তিনবাত্তি মোড়ে। সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যাকিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিজেপির একটি বিশাল মিছিল। এরপর পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন। জঘম বিজেপির একাধিক কর্মীও। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় কাঁদানে গ্যাসের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে উলেন রায় নামক এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে, এমনটাও অভিযোগ তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিকে, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, উলেন রায়ের মৃত্যুর কারণ ছররা গুলি। এরই প্রতিবাদে আগামিকাল মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকল বিজেপি।

আরও পড়ুন- ডেউচা পাচামি কয়লা ব্লকের সামাজিক নিরীক্ষা শুরু, এলাকা পরিদর্শন জেলাশাসক-পুলিশ সুপারের

বিজেপির আরও দাবি, আহত হয়েছে ৪০ জন কর্মী। ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি। প্রত্যেকের গায়ে গুলির দাগ রয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, দুজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। একজন মারা গেছেন। আহতদের দেখতে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় হাসপাতালে গেছেন। এদিকে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে গেলেন বিজেপি প্রতিনিধি দল। ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং ভারতী ঘোষ। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানালেন আগামিকাল, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে বনধ-এর পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে বিজেপি। মোমবাতি মিছিলও হবে।

এদিকে বিজেপি’র উত্তরকন্যা অভিযানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুধুমাত্র জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। আজ, সোমবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এদিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছিল জল কমানে কেমিক্যাল ও রং ব্যবহারের অভিযোগ। উত্তরকন্যা অভিযানেও উঠল সেই একই অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির মিছিল আটকাতে তিনবাত্তি মোড়ে যে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে তাতে ব্যবহার করা হয়েছে মোবিল ও গ্রিজ। আন্দোলনকারীরা যাতে এই ব্যারিকেড টপকাতে না পারে সেই জন্যে এই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। আর কেমিক্যালের এই ব্যবহার নিয়েই ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

আরও পড়ুন- বিমল গুরুং পাশে নেই, উত্তরকন্যা অভিযানে বুঝল বিজেপি, কিশোর সাহার কলম

Previous articleবিমল গুরুং পাশে নেই, উত্তরকন্যা অভিযানে বুঝল বিজেপি, কিশোর সাহার কলম
Next articleসংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের পরই “ইঙ্গিতপূর্ণ” টুইট মহুয়ার