পূর্বঘোষণা মত বুধবার সরকারের তরফে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের কাছে। তবে মোদি সরকারের পাঠানো প্রস্তাবে মোটেই খুশি নন দেশের কৃষকরা। ফলস্বরূপ, কৃষক আন্দোলনকে আরো তীব্র তুলতে সিঙ্ঘু বর্ডারে বৈঠকে বসলেন দেশের কৃষক নেতারা। পাশাপাশি, আলোচনায় সমাধানের রাস্তা বের করতে ষষ্ঠ দফায় বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের কাছে। তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের তরফে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এহেন অবস্থায় বুধবার বৈঠকের পর বিকেল ৪টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন কৃষকরা। সেখানে তাদের তরফ থেকে কী জানানো হয় সেদিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের।
বুধবার সরকারের পাঠানোর প্রস্তাব হাতে পাওয়ার পর অখিল ভারত কৃষক সংগঠন এর অধ্যক্ষ প্রেম সিং বগু জানান, ‘সরকারের তরফ থেকে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তাতে কোনও ভাবেই কৃষকদের সম্মতি নেই। আমরা বৈঠকে বসেছি। হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসা হচ্ছে। এরপরই আমাদের আগামী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে, পরিস্থিতি যে খারাপের দিকে যাচ্ছে তা অনুমান করে ইতিমধ্যেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সরকারের তরফে। কৃষকদের পাঠানো লিখিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘কৃষকদের ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই এপিএমসি থাকবে এমএসপিও থাকবে। এর পাশাপাশি কৃষকরা চাইলে অন্যান্য সুবিধাও পেতে পারবেন। যেখানে বেশি দাম পাওয়া যাবে কৃষকরা সেখানেই নিজেদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন।’
Farmer leaders at Singhu Border receive a draft proposal from the Government of India#FarmLaws pic.twitter.com/zBQuOjY3F3
— ANI (@ANI) December 9, 2020
আরও পড়ুন:উত্তরকন্যা অভিযানে উলেনের মৃত্যুর আড়ালে বিজেপির হাত রয়েছে, সন্দেহ অশোক ভট্টাচার্যের
এইসবকিছুর মাঝেই এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছে বিরোধী প্রতিনিধি দল। তার আগেই এক বার্তায় আকালি দলের নেতা প্রেম সিং বলেন, ‘কৃষকদের লম্বা লড়াইয়ের রাস্তায় টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনওরকম সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কৃষকদের এই আন্দোলন এখন গোটা দেশের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। যেভাবে তারিখের প্রতারিত হচ্ছে তা কখনোই কাম্য নয়। রাষ্ট্রপতি সাক্ষাতে আজ গোটা বিষয়টি জানানো উচিত বিরোধী নেতাদের।’