Friday, May 16, 2025

১৪ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আন্দোলন, কেন্দ্রের সঙ্গে আর বসতে রাজি নন কৃষকরা

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় প্রবল ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী কৃষকরা। বুধবার সিঙ্ঘুতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা সম্ভব নয়। কেন্দ্র তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি মেনে না নিলে বৈঠক করে কোনও লাভ নেই। ফলে চোদ্দদিনের মাথায় কৃষক সংকট আরও ঘোরালো। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।

কৃষক আন্দোলনের চোদ্দদিন পূর্ণ হল এদিন। গতকাল ভারত বনধের দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অনুরোধে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিলেন কৃষক প্রতিনিধিরা। তিন ঘণ্টার আলোচনার পর সেখানেও রফাসূত্র মেলেনি। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ কেন্দ্রের তরফে লিখিতভাবে কয়েকটি প্রস্তাব পাঠানো হয় এবং বার্তা দেওয়া হয় যে আইন প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র কয়েকটি সংশোধনী যুক্ত হতে পারে। কেন্দ্রের এই অনমনীয় মনোভাব বুঝে কৃষক সংগঠনগুলিও পাল্টা অনড় মনোভাব নিয়েছে। সিঙ্ঘুতে ৪০ টি কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা নয়। সরকার ঔদ্ধত্যপূর্ণ মনোভাব নিয়ে চলেছে। তিনটি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বরং আরও তীব্র হবে আন্দোলন। কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত, হান্নান মোল্লারা জানিয়েছেন, এবার গোটা দিল্লি অচল করে দেওয়া হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর দেশের সব জেলায় প্রতিবাদী ধরনা কর্মসূচিতে সামিল হবেন কৃষকরা।

প্রসঙ্গত, কৃষক সংগঠনগুলি স্পষ্টভাবে দাবি করেছে, চলতি কৃষি আইন পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করে সংশোধনী এনেও মূল সমস্যার সমাধান হবে না। কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাছে কৃষকদের দাস বানানোর চেষ্টা চলছে। এটা কৃষকদের জন্য মৃত্যুফাঁদ। অন্যদিকে মোদি সরকারের তরফে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোটা আইন প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। বড়জোর এপিএমসি বা এগ্রিকালচারাল প্রডাক্ট মার্কেটিং কমিটির মান্ডি ব্যবস্থা এবং এমএসপি বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সংশোধনী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এই রফা সূত্র খারিজ করেছেন কৃষকরা। ফলে কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ ও অচলাবস্থা অব্যাহত থাকছে।

আরও পড়ুন-মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা বিরোধীদের

spot_img

Related articles

পাক-মুখোশ খুলতে একজোট সব দল: একাধিক দেশে প্রচারে যাবেন সাংসদরা

পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) পরে গোটা বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা...

বিজেপি জমানায় বেকারত্ব বাড়ল ৫ শতাংশ! প্রকাশ্যে ভাঁওতাবাজি

বিজেপি জমানায় বেকারত্ব কমার লক্ষণ নেই। মোদি সরকারের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতিই যে ভাঁওতা, তা ফের একবার প্রমাণ হল...

তৃণমূলে সাংগঠনিক পদে বড় রদবদল! নয়া তালিকা প্রকাশ, পদ থেকে সরানো হল সুদীপ-অনুব্রতকে

২০২৬-এর নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের (TMC) সাংগঠনিক পদে বড়সড় রদবদল। বেশ কয়েকটি জায়গায় জেলা সভাপতিকে সরিয়ে কোর কমিটি গঠন...

পাকিস্তান টাকা খরচ করবে সন্ত্রাসবাদেই: IMF-কে পুণর্বিবেচনার আর্জি রাজনাথের

ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর নেপথ্যে পাকিস্তানেরই ভূমিকা ছিল। বিশ্বমঞ্চে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই যুক্তিতে...