নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনবে রাজ্য

মহামারির আবহে আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু টানা এতদিন চালের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখা কি সম্ভব? তারও সমাধান সূত্র বের করেছে রাজ্য সরকার । এই উদ্দেশে একটি প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খারিফ শস্য সংগ্রহ করবে।
এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন,‌ ‌এই প্রকল্পের আওতায় ৩০ লক্ষেরও বেশি কৃষককে তালিকাভুক্ত করা হবে। পশ্চিমবঙ্গে ধান উৎপাদনকারী প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষকের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন। আরও বেশি কৃষকের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে । চলতি মাসের শেষেই ধান সংগ্রহ করার কাজ শুরু হবে।‌
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে , এবারের মরশুমে ফলন দুর্দান্ত হলেও অনেক কম চাহিদা থাকাও ধানের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। এমনকী সেই দাম সরকার–ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেরও কম। তাই রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষকের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
সরকার কৃষক প্রতি প্রায় ৪৫ কুইন্টাল ধান সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। গত বছর কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান নিয়েছিল সরকার। এবং সে বার কুইন্টাল প্রতি ১৮৬৮ টাকা সহায়ক মূল্য দেওয়া হয়। তবে এ বার সহায়ক মূল্য কতটা পাবেন কৃষকরা?‌
কৃষি বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সেই দাম নির্ধারণ করা হয়নি। কৃষকদের সুবিধা–অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই দাম ঠিক করা হবে। কৃষকরা যাতে মজুতদার বা আড়তদারদের কাছে ধান বিক্রি না করে সরাসরি সরকারকে ধান দেয় সে ব্যাপারে নজর রাখতে একটি বিশেষ নজরদারি কমিটিও গড়বে রাজ্য সরকার।

Previous articleকৃষকদের সমর্থনে এবার নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করবেন না সোনিয়া
Next articleশুভেন্দু-ঘনিষ্ঠতার অপরাধে আরও দুই নেতাকে শাস্তি দিলো তৃণমূল