‘প্ল্যান করেই হামলার নাটক’, মেয়ো রোডের সভায় মমতার নিশানায় বিজেপি

লোক নেই তাই কনভয়ে হামলার নাটক করছেন ।বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়োরোডে কৃষি আইন বিরোধী তৃণমূলের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, সেখানে তৃণণূলের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বিজেপি এই কর্মসূচির জন্য তা তারা পরে করেন। তিনি বলেন, শিরাকোলে কিছুই হয়নি। ছোট ঘটনা, কনভয়ের গাড়ি কাউকে ধাক্কা মারার ফলেই এই ঘটনা ।
‘প্ল্যান করেই হামলার নাটক’, জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে দাবি মমতার।
বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে কৃষকদের সমর্থনে তৃণমূলের সমাবেশে গিয়ে তিনি বলেন, লোক হচ্ছে না বলেই জাতীয় সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়তে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে৷ কেন পঞ্চাশটি গাড়ির কনভয় নিয়ে বিজেপি সভাপতি যাচ্ছিলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে ছোট কোনও ঘটনা ঘটলেও প্রকৃত কী হয়েছিল তা তিনি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তিনটি কৃষি বিলের প্রতিবাদে ধর্মতলায় প্রতিবাদে নেমেছে তৃণমূল। সেই সভায় নিজের ২৬ দিনের অনশনের প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘কৃষকদের আন্দোলন থেকে আমরা সরব না।’’
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা রাজ্যে এলে তাঁদের কর্মসূচি সম্পর্রে রাজ্যকে কিছুই জানানো হয়না৷ নিরাপত্তাও চাওয়া হয়না পুলিশের থেকে৷ কিন্তু সমস্যা হলেই রাজ্যকে দোষারোপ করা হয়৷ ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘এত তোমার সিআইএসএফ, বিএসএফ, কম্যান্ডো আছে তাহলে তোমার গাড়িতে হাত পড়ে কী করে? গুন্ডাকে পর্যন্ত চারটে করে সিকিউরিটি রেখে দিয়েছো৷ আমরা তো বার বার বলেছি সমস্যা হলে রাজ্যকে বলুন৷ তোমার তো অধিকার নেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নাক গলানোর৷ এটা কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া নয়? তোমার পার্টির ক্যাডাররা যখন অস্ত্র, ছররা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে রাজ্যকে দোষারোপ করো।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মান পেতে গেলে আগে অন্যকে সম্মান দিতে হয়৷ আমি সেই সম্মানটা করতে জানি৷ যদি আজ কোনও ছোট ঘটনাও ঘটে থাকে, আমি জানি না কী ঘটেছে।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আরএসএস হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক নয়। স্বামী বিবেকানন্দকে আমরা হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক মনে করি। ওরা একটা ঘৃন্য ধর্মকে হিন্দু ধর্ম বলে চালানোর চেষ্টা করছে। যার সঙ্গে আপনার-আমার কোনও সম্পর্ক নেই। হিটলার-মুসোলিনি এভাবেই কাজ করত।’
বলেন, ‘মোদি সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান মানছে না। রাজীব গাঁধী ৪০০ সাংসদ নিয়েও ঔদ্ধত্য দেখাননি। ৩০০ সাংসদ নিয়ে মোদি যা ইচ্ছে তাই করছেন।’
কৃষি আন্দোলন থেকে চোখ ঘোরাতে জাতীয়তাবাদী তাস খেলছে বিজেপি। বলেন, ‘কখনও পাকিস্তান, কখনও চিনের নাম করছে। কৃষি আন্দোলন থেকে চোখ ঘোরাতে জাতীয়তাবাদী তাস খেলছে বিজেপি।’তিনি জানিয়ে দেন, ‘কৃষকদের আন্দোলনের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। বলেন, ‘কেন্দ্রের ৩টি আইনই কৃষক বিরোধী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনে পরিবর্তনের কারণেই দামবৃদ্ধি। আগে রাজ্য সরকার আলু-পেঁয়াজ কিনে মজুত করত। সঙ্কটের সময় কমদামে বিক্রি করত। গরমকালে বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দেবে।’
আমফান প্রসঙ্গে এ দিন মমতা বলেন, ‘‘একটা টাকা দিয়েছ, যে কৈফিয়ত চাইছ? আমাদের রাজ্য থেকে জিএসটি-র যে টাকা নিয়ে যান, সেই টাকা আগে ফেরত দিন।’’
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যাঁরা এমন মিথ্যে কথা বলেন, তাঁরা আমাকে নিয়েও বলতে পারে ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি বিশ্বভারতীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এরা কেমন মিথ্যে কথা বলে ভাবুন ।
বাংলায় থেকে বাংলার বদনাম করেন, লজ্জা করে না ।আমি নাম বলব না, এক জন ভদ্রলোক, যিনি সংবিধান মেনে  চলেন, তিনি বললেন, আগুন লেগেছে, দমকল ডাকুন।

Previous articleপ্রকাশিত হল ভারত-ইংল‍্যান্ড সিরিজের সূচি
Next articleএকাদশের সিলেবাসও কমল ৩০-৩৫% , কোন বিষয়ে কী কী বাদ হল?