মোদি-শাহের গুজরাটে মহামারিতে না খেয়ে ছিলো বহু পরিবার, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

করোনা অতিমারীতে মোদি-শাহের গুজরাটের লজ্জাজনক চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে৷

‘অন্ন সুরক্ষা অধিকার অভিযান’-এর এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, করোনা অতিমারীর সময়ে গুজরাতে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা অসংখ্য পরিবার খাদ্যদ্রব্যের অভাবে অভুক্ত থেকেছেন। এই হার প্রায় ২০.৬ শতাংশ। এছাড়া, ওই একই সময়ে বিপিএল-ভুক্ত ২১.৮ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের একবেলার খাওয়ারও জোটেনি। পেটে ক্ষিদের জ্বালা নিয়েই ভয়ঙ্কর করোনা-কালে রাতের পর রাত এভাবেই কাটিয়েছেন এই সব পরিবার।

আরও পড়ুন : আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশে সংস্কার প্রয়োজন: হাইকোর্ট

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমেদাবাদ, আনন্দ, ভারুচ, ভাবনগর, দহোদ, মোড়বি, নর্মদা, পাঁচমহল-সহ ৯’টি জেলার পরিবারগুলিতে খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টি’র প্রশ্নে লকডাউনের প্রভাব কতটা পড়েছে তা সমীক্ষা করা হয়েছিলো। তাতেই এই দুর্ভাগ্যজনক ছবি উঠে এসেছে৷ সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, গুজরাটের অসংখ্য বিপিএল পরিবারের রেশন কার্ড নোটিশ ছাড়াই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “গুজরাট সরকার পরিবারগুলিকে কার্ড বাতিলের কারনও জানায়নি, সঠিক তথ্যও দেয়নি। রেশন কার্ড বাতিল হওয়া পরিবারের মধ্যে অনেক খুব বঞ্চিত সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছে। কেন তাদের রেশন কার্ডগুলি মৌলিক অধিকারের দাবিতে ব্যবহার করতে পারবেন না? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার ৷
রেশন কার্ডকে ‘সাইলেন্ট’ বানানোর এই প্রক্রিয়াটি ঘটেছে স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে। গুজরাটের অনেক এলাকায় করোনা-কালে পরিবারগুলিকে খাদ্য সুরক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কারণ নিয়ে জেলা পর্যায়ের কমিটির সভা অনুষ্ঠিতও হয়নি।”

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৩৮ শতাংশ পরিবার, সরকারি রেশন না পাওয়ায় চাল, ডাল খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। ৪০.৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা গম-জোয়ার-বাজরা-ডাল ইত্যাদি এখন আর খাচ্ছেন না। ৫৭.৬ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে, শাকসবজি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি এবং দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থানকারী।

Previous articleবক্সিং ডে টেস্টে প্রতিদিন ৩০ হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পারবেন!
Next articleনাড্ডার পর এবার বঙ্গে গেরুয়া ঝড় তুলতে ডিসেম্বরেই শহরে অমিত শাহ