ডায়মন্ড হারবারে নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৭

ডায়মন্ড হারবার রোডের শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এবার ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল, টুইট করে জানানো হয়েছিল সেভাবে “হামলা” হয়নি। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। যদিও সেই টুইটে রাজ্য পুলিশের বার্তা ছিল, এমন কোনও ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরই এদিন ৭জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আরও কয়েক জনের খোঁজ করছে পুলিশ।

রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এটা রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে কুৎসা করার জন্য এবং পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য বিজেপির পরিকল্পনামাফিক ও প্ররোচনামূলক হামলা। তবে কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ডায়মন্ড হারবার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সফর পথে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার রেশ গিয়ে পড়েছে দিল্লিতেও। আসরে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বিজেপির দুই নেতাকে ফোন করেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, গোটা ঘটনা নিয়েই নাড্ডা-কৈলাসের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। আজ, শুক্রবার সকালে দিল্লির পিএমও অফিস থেকে মোদির ফোন করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

নাড্ডাকে কেন্দ্র করে ডায়মন্ড হারবার কাণ্ডের পর রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির রিপোর্ট দেওয়ার কথা জানানো হয়। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ও মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করে রিপোর্ট জানতে চান ধনকড়।

শুক্রবার সকালে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সাম্প্রতিক কালে এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে দিল্লি। তারই মাঝে নাড্ডা ও কৈলাসকে প্রধানমন্ত্রীর ফোনও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীন আক্রমণ ধনকড়ের
Next articleসভাপতি-সহ মিমের গোটা যুব সংগঠন তৃণমূলে