রাজীব-পার্থ-পিকের বৈঠক বুঝিয়ে দিল শুভেন্দু এপিসোড আপাতত তৃণমূলে অতীত

শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পথে যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ( Wb Minister Rajib Banerjee) হাঁটবেন না তা পরিষ্কার করে দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী ও তৃণমূল রাজ্য কমিটির সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দল ছেড়ে দলের বাইরে নয়, দলে থেকে দলের সঙ্গে আলোচনাকেই প্রাধান্য দিলেন রবিবাসরীয় আলোচনায়। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Wb Education Minister Partha Chatterjee) ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (PK)।

রাজীব পরিষ্কার জানিয়েছেন, দলের মধ্যে কারওর ক্ষোভ থাকতেই পারে। আর তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটতে পারে। আমরা সেটাই করতে চেয়েছি। অর্থাৎ রাজীব যেমন একদিকে তাঁর ক্ষোভের কথা অস্বীকার করেননি, তেমনি এটাও ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন, ক্ষোভ প্রশমনেই এই আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন : শুভেন্দু অনুগামী কনিষ্ক পান্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস

আলোচনায় রাজীবের প্রকাশ্যে মন্তব্য করার বিষয়টি ওঠে। রাজীব এক্ষেত্রেও ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দেন, সন্তান না কাঁদলে মা দুধ দেন না। অর্থাৎ তাঁর এই ক্ষোভের কথা শোনাই হতো না যদি তিনি আড়ালে আলোচনা করতে চাইতেন। প্রকাশ্যে টানা মন্তব্য করতে থাকায় দল অস্বস্তি এড়াতেই তড়িঘড়ি গুরুত্ব দিয়ে বৈঠক ডাকে। রাজীবের কাজ হাসিল হয়।

বৈঠক থেকে কোন কাজ হাসিল করলেন রাজীব? কিংবা তাঁর সবচেয়ে বড় পাওনা কী? অবশ্যই বড় পাওনা হলো তৃণমূল কংগ্রেসের নবপ্রজন্মের মুখ হিসাবে যে ক’জন সামনের সারিতে থাকবেন, সেখানে অন্যতম মুখ থাকবেন রাজীব। পিকের কাছ থেকে পেয়েছেন সে প্রতিশ্রুতি। বাড়বে দায়িত্ব।

বৈঠক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রাপ্তির ভাঁড়ার কী? তৃণমূল কংগ্রেস আগাম পদক্ষেপ করে শুভেন্দু-রাজীব জোটকে কৌশলে ভাঙতে সমর্থ হয়েছে। তাই রাজীব বলেছেন, শুভেন্দুর ব্যাপারটা একরকম, আর আমারটা আর একরকম। সুকৌশলে শুভেন্দুর পাশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। সিদ্ধান্তহীনতায় দলে ক্রমশ একলা হয়ে পড়ছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

রাজীব যে অসত্য কথা বৈঠকে বলেছেন, তা হলো পোস্টার বা ব্যানার নিয়ে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। এগুলো তিনি পছন্দ করেন না। বাইরে কী ঘটছে জানেন না। কিন্তু এটা যে দলীয় নেতৃত্বকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনার কৌশল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যা ফের আলোচনার রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছে৷

এই বৈঠক আর একটি জিনিস পরিষ্কার করে দিয়েছে, তা হলো শুভেন্দু এপিসোড আপাতত তৃণমূল কংগ্রেস অতীত।

Previous articleকৃষি আইনের প্রতিবাদে আমেরিকায় গান্ধী মূর্তি অবমাননা খালিস্থানপন্থীদের
Next articleতৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা, চাকরি প্রতিশ্রুতি কার্ড বিতরণ শুরু বিজেপির