‘জাতীয় সঙ্গীতে বদল’, সুব্রহ্মণ্যমের তীব্র সমালোচনা জয় ও কমলেশ্বরের

জাতীয় সঙ্গীতে (National Anthem) বদল চেয়ে বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জন গণ মন’ গানটির অংশবিশেষ ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করে। এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্যসভার এমপি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গানটির পরিবর্তন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এবার নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলার বুদ্ধিজীবীর দল।

‘জনগণমন’ নিয়ে সুব্রহ্মণ্যমের আপত্তির কারণ ‘সিন্ধু’ শব্দটি। স্বামীর কথায়, জাতীয় সঙ্গীতের বেশকিছু শব্দ এই প্রজন্মের মধ্যে অনাবশ্যক ধন্দ তৈরি করে। তারমধ্যে ‘সিন্ধু’ শব্দটিও রয়েছে। ‘জনগণমন’-র শব্দ বদলে তিনি তাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)-র গাওয়া গানটিকেই পছন্দ করেছেন। এ নিয়ে সুব্রহ্মণ্যম নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন সে কথা। আর তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রবীন্দ্রনাথের লেখা বদলানো এবং তাঁর রচিত জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর বিষয়টিতে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামী(Joy Goswami)। তিনি জানিয়েছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের লেখা বদলে দেওয়ার এই ভাবনাটাকেই আমি ধিক্কার জানাই।’ জয় গোস্বামী সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, উচ্চ পদ ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ দম্ভ দেখিয়ে ফেলেন। ইদানীং বিজেপি নেতাদের মধ্যেও বারে বারেই সেই দম্ভ দেখা যাচ্ছে।

জয় গোস্বামী ছাড়াও এ শহরের আরও এক কবি ও গদ্যলেখক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Binayak Bandyopadhyay) জানিয়েছেন, ‘অর্বাচীনের মতো কথা বলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।’

অন্য দিকে, চিত্রপরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukhopadhyay) এই বিতর্কে একটি মূল বিষয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা যদি ঠিক হয়, তবে সংস্কৃতির রাজনীতিটাও ঠিক হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন : নতুন বছরের শুরুতেই বাজারে আসছে গেরুয়া ফুলকপি “করোটিনা”

Previous articleনতুন বছরের শুরুতেই বাজারে আসছে গেরুয়া ফুলকপি “করোটিনা”
Next articleগুরুত্বপূর্ণ তিন রুটের ট্রাম ফের কবে চলবে, তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা