বিস্মৃত মাখরা: বিজেপি কর্মীর শহিদ বেদিতে তৃণমূলের পতাকা

২০১৪ সালে যখন রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের (Tmc) দাপট, তখনও নজরে ছিল বীরভূমের (Birbhum) মাখরা গ্রাম। কারণ, আর পাঁচটা জায়গা যখন বিরোধী-শূন্য, তখন সেখানে জয় পায় বিজেপি (Bjp)। মাখরা গ্রামকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের উত্থানে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে পাড়ুই(Parui)। ২০১৪-র অক্টোবরে মাখরা দখলের লড়াইয়ে অনুব্রত (Anubrata Mandal) এবং দুধকুমারের(Dudh kumar Mandal) অনুগামীদের মধ্যে অহরহ বোমাবাজি এবং গুলির লড়াই চলত।

আরও পড়ুন – পরশু দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু, যোগ দেবেন বিজেপিতেই

যে অখ্যাত গ্রামকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের উত্থান , সে গ্রামই এখন কার্যত বিজেপি-শূন্য। বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুক বলে পরিচিত পাড়ুই থানা এলাকার মাখরা দখলের লড়াই ঘিরে একসময় বহু রক্ত ঝরেছে। লড়াইয়ে নিহত হন বিজেপি সমর্থক শেখ তৌসিফ (Sk Toufic)। তাঁর নামে তৈরি শহিদ বেদির উপরেই এখন তৃণমূলের দলীয় পতাকা।

এতগুলো খুন ও বোমাবাজির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকে (Police super Alok Rajoriya)। ঘটনার পর পরই এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। সে সময় মাখরা গ্রামে বিজেপি সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাখরায় তিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পাঠান বিজেপি নেতৃত্ব। মাখরার যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুখতার আব্বাস (Mukhtar Abbas Nakvi) নকভি,  সাংসদ কীর্তি আজাদ(Kirti Azad) এবং উদিত রাজ(Udit Raj)। ওই সফরে ছিলেন দলের তৎকালীন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও(Rahul Sinha)। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মুখে বাধা পান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। তবে সে সব এখন অতীত।

Previous articleআগাম নির্বাচনবিধি চেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবি বিজেপির
Next articleহাসপাতালের ভিতরে গান শুনে নেচে উঠলেন রেমো ডিসুজা, ভিডিও পোস্ট স্ত্রীর