অভিষেক-পিকের সঙ্গে দেখা করতেই কি কলকাতায় বিনয়-অনীতরা: কিশোর সাহার কলম

কিশোর সাহা

বিমল গুরুংয়ের (Bimal Gurung) সঙ্গে বিরোধ এড়িয়ে কীভাবে বিজেপি (BJP) বিরোধিতা তুঙ্গে নিয়ে দার্জিলিং(Darjeeling), তরাই ও ডুয়ার্সে (Duars) রূপরেখা তৈরি হবে, তা নিয়ে বুধবার থেকে কলকাতায় বৈঠক শুরু করেছেন বিনয তামাং (Binay Tamang) ও অনীত থাপা(Anit Thapa)। সূত্রের খবর, বিনয় ও অনীত দুজনেই সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Benarjee) সঙ্গে কথা বলতে চান। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prasant Kishor) সঙ্গেও দেখা করার কথা তাঁদের। সব ঠিক থাকলে বুধবারই বিনয়-অনীত জুটির সঙ্গে কথা হচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata benarjee) এখন শিলিগুড়িতে। কদিন আগে পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Arup Biwsas) শিলিগুড়িতে (Siliguri) পৌঁছলে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিনয়-অনীত। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়েও কেন বিনয়-অনীত কলকাতায় যাবেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধে। তাতেই বিজেপির (Bjp) একটি তরফে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, বিনয়-অনীত তাঁদের শিবিরে যেতে পারেন।

কিন্তু পাহাড়ের পোড় খাওয়া এক রাজনীতিক, যিনি একদা বিমল গুরুংয়ের পরামর্শদাতা ছিলেন, বর্তমানে আলাদা দল গড়েছেন, তিনি জানান, বিনয়-অনীতের বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে যে খবর বাজারে ছাড়া হয়েছে তা যুক্তিহীন এবং পাহাড়ের রাজনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকা থেকেই হয়েছে।

তিনি যুক্তি দিতে গিয়ে জানান, মনে রাখতে হবে, বিমল গুরুং পাহাড় ছেড়ে আত্মগোপনের সময়ে বিজেপির আশ্রয়ে ছিলেন। প্রায় সাড়ে তিনবছরে তাঁকে পাহাড়ে ফেরাতে পারেনি বিজেপি। এখন বিমল গুরুং ফিরেছেন দেখে বিনয় ও অনীত বিজেপি শিবিরে ভিড়লে তাঁদের নামে থাকা একই মামলায় জেরবার হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

শুধু তাই নয়, সমতলের এক প্রবীণ বাম নেতা জানান, বিজেপির শিবিরে বিনয়-অনীত এখন গেলে বিমল গুরুং পাহাড়ে গিয়ে ফের পূর্ণ কর্তৃত্ব কায়েম করে ওঁদের হয়তো দীর্ঘদিন পাহাড়ছাড়া করে দেবেন। সেটাও বিনয়-অনীতরা বোঝেন।

তৃতীয়ত, মোর্চার একটি সূত্র অনুযায়ী, বিমল গুরুং(Bumal Gurung) পাহাড়ে না থেকেও গত লোকসভা ও পরে দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপিকে জিতিয়েছেন। সেখানে বিনয় নিজেই উপনির্বাচনে হেরেছেন। একদা বিমল গুরুংয়ের ছায়াসঙ্গী হলেও পাহাড়, তরাই-ডুয়ার্সে কিন্তু এখন বিমল গুরুংয়ের নামেই কিন্তু ভিড় উপচে পড়ে সেটা বিজেপি নেতারাও জানেন। বিনয়-অনীতও সেটা জানেন ও বোঝেন বলেই এখন বিজেপিতে গিয়ে নিজেদের কেরিয়ারকে বড় ঝুঁকিতে ফেলবেন বলে মোর্চার অনেকেই মনে করছেন না।

আরও পড়ুন:সীমান্তে স্বাস্থ্য শিবির করল বিএসএফ

এই অবস্থায়, কলকাতায় তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা ও দলের পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলার পরে বিনয়-অনীতরা কী পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার।

Previous articleকাল থেকে জাঁকিয়ে শীত কলকাতায়, ১০ ডিগ্রির নীচে নামতে পারে পারদ
Next articleদোনলা বন্দুক, রাইফেল উদ্ধার মালদায়, ধৃত ১