বইমেলা breaking: সরকারি মদতের মোড়কে কণ্ঠরোধ, ফুঁসছে বইপাড়া

কণ্ঠরোধ করছেন কোনো ব্যক্তি।
কিন্তু বদনাম হচ্ছে সরকারের।
কারণ যখন যেমন তখন তেমন সরকারের ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিয়েই চলছে অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম।

ফলে গিল্ডের ( guild) কাজকর্মে ফুঁসছে বইপাড়া। এবার বইমেলা ( bookfair) মরশুমের আগে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে।

অভিযোগ, গিল্ডের নামে দুতিনজন ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। এতবড় বইপাড়া। অথচ গার্ডের সদস্য মাত্র 32, বহু নামি প্রকাশক ( publisher) বাদ। এমন করে নিয়ম তৈরি যে তাঁরা নিজেরা ঢুকতেও পারবেন না। সবটাই দুতিনজনের মর্জিনির্ভর। প্রকাশকদের গিল্ড, অথচ সংস্থার বদলে ব্যক্তিকে সদস্য করা হয়। বইমেলায় নিজেরা ইচ্ছেমত স্টল নেন, বাকিদের লটারি। ঘনিষ্ঠদের সদস্য করে কমিটির লাগাম রাখা হয়, বাকিদের সদস্য করা হয় না। এ ছাড়াও বহু অভিযোগ। বহু নামি প্রকাশক অপমানিত বোধ করছেন।

গিল্ড চালান দুজন। ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশুশেখর দে। এর মধ্যে সুধাংশু দে নিপাট ভদ্রলোক। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ কম।

অভিযোগ, গিল্ডকর্তারা সব সময়ে সরকারঘনিষ্ঠতার ভাব দেখিয়ে বাকিদের ঠাণ্ডা রাখেন। কেউ ঝামেলায় জড়ান না। এঁরাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘুরতেন। এঁরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন। আবার এঁরাই কখনও এখন শুভেন্দু অধিকারীর মঞ্চে যান বা নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বই বার করেন। আবার সেই খবর প্রকাশিত হলে তিড়িং বিড়িং লাফিয়ে কোনো কাগজের সম্পাদক বা পোর্টালকে প্রভাবিত করতে মরিয়া চেষ্টা করেন। এরকম লম্ফঝম্প শীতকালে সার্কাসের জোকারদের করতে দেখা যায়।

যাই হোক, এবার একাধিক প্রকাশক গিল্ডের কণ্ঠরোধের নীতির বিরুদ্ধে ও দখলদারির প্রতিবাদে কোমর বেঁধেছেন। মুখ্যমন্ত্রীসহ শীর্ষনেতৃত্বের কাছে যাচ্ছে অভিযোগসহ নানা নথির ফাইল। বইপাড়ার বক্তব্য, সব প্রকাশককে মর্যাদা দিয়ে সদস্য করে স্বচ্ছভাবে চলুক গিল্ড। জানা গেছে সুধাংশু দে নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এই ক্ষোভ মেটানোর পক্ষে।

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleফের মোদি সরকারের নয়া আইন, এবার সরকারি চাকরিতেও ব্যাপক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা