রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে: হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই রাজ্যপালকে (Governor) বিস্ফোরক চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari)। নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালে হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, অবস্থান বদলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

চিঠি পাওয়ার পরেই সেটি টুইটারে(Twitter) প্রকাশ করেন জগদীপ ধনকড় (JagdeepDhankar)। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে চিঠি পোস্ট করে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Benarjee) ‘ট্যাগ’ করেন।

রাজ্যপাল লেখেন, “প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমার কাছে পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন। তিনি লিখেছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফৌজদারি মামলা আনা শুরু করেছে”।

চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, জনস্বার্থেই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগের তির সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ও কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে। শুভেন্দু লিখছেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি আপনার হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হচ্ছি”।

তিনি লেখেন, বিগত ২৫ বছর ধরে তিনি জনজীবনে রয়েছেন। অত্যন্ত দায়বদ্ধতা নিয়ে জনসেবা করেছেন। লিখেছেন, “আমার রাজনৈতিক অবস্থান বদলের পর প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে নেমেছেন। রাজনৈতিক অভিসন্ধির কারণে আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে পুলিশি অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি আপনার হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি’।

শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তুমুল আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই বুধবার বিকেলে বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। কিন্তু তারপরে রাজ্যপালকে লেখা তাঁর এই বিস্ফোরক চিঠি নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, শুভেন্দুর চিঠি থেকেই স্পষ্ট তিনি কোন দলে যাচ্ছেন। কারণ, তাঁর চিঠির বয়ান বিজেপি(BJP) নেতাদের অভিযোগের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- “জেলা সভাপতি হিসেবে এটাই আমার শেষ বক্তব্য”, জিতেন্দ্র তিওয়ারির ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা

Previous articleতিন টেস্টে অধিনায়ক রাহানের ওপর ভরসা বিরাটের
Next articleকৃষক আন্দোলন অচিরেই জাতীয় ইস্যু হবে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের