দলীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বাবুল সুপ্রিয় বললেন, জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগ মানব না

বিজেপিতে (BJP) জিতেন্দ্র তেওয়ারি ( Jitendra Tewari)? দলীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আসানসোলের সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriya) সাফ জানালেন, জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগদান আমি মন থেকে মেনে নিতে পারব না। দলের কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। ফলে দলবদলুদের নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরেই লড়াই শুরু হয়ে গেল। প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের গেরুয়া বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনায় ‘চোনা’ ফেলার পর ধাক্কা খাওয়ার পালা এবার জিতেন্দ্র তেওয়ারির। বিজেপিতে আদি বনাম নব্যর লড়াই প্রকাশ্যে চলে এলো।

টানা দশ বছর তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে সরকারি ক্ষমতা ভোগ করার পর হঠাৎ বিবেক জাগ্রত হয় জিতেন্দ্র তেওয়ারির। প্রথমে আসানসোল কর্পোরেশনের প্রশাসকের পদ ও পরে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক পদ তিনি ছাড়েননি। দলনেত্রী তাঁকে দেখা করতে বলার দিনেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কাঁকাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। লক্ষ্য, সুযোগ বুঝে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে গেরুয়া বাহিনীর ছত্রছায়ায় আসা। আর সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।

কী বলেছেন বাবুল? বাবুল ফেসবুক ভিডিওতে বলেছেন, আমি আসানসোলের মানুষকে কথা দিয়েছিলাম এলাকায় যে সব বেআইনি কাজ হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব তথ্যসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) বারবার পাঠিয়েছি। যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে জানানো হয়েছিল। সে নিয়ে পদক্ষেপও করা হচ্ছে।

জিতেন্দ্রদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাকে বাবুল ইঞ্জুরি অন ইনসাল্ট (injury on insult) বা ক্ষতস্থানে ফের আঘাত করা হিসাবেই বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের বিজেপিতে আসা মেনে নিতে পারব না। আসানসোলবাসী আমাকে অসংখ্য মেসেজ করছেন। জানতে চাইছেন, আমার সঙ্গে টেবিলের তলায় কোনও রফা হয়েছে কিনা! আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এ ধরণের মানসিকতা আমার নেই। যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলাম, যারা আমাদের কর্মীদের রোজ মেরেছেন, জেলে পুরেছেন মিথ্যা মামলায়, তাদের সঙ্গে ঘর করতে পারব না। আসানসোলবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না।

আরও পড়ুন:বাংলার প্রতি অবিচার, বিরোধী ‘মহামঞ্চ’ করে মমতার পাশে জাতীয় স্তরের বিজেপি- বিরোধীরা

আর এ কথা শুনে ভূতের মুখে রামনাম জিতেন্দ্রর। বিজেপিতে ঢুকতে মরিয়া জিতেন্দ্রর সুর অনেক নমনীয়। বলছেন, হয়তো আমার কোনও কাজে উনি আঘাত পেয়েছেন। তৃণমূলের জন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে একাজ করতে চাইনি। দলবদলুদের রাতের ঘুম ক্রমশ কমছে।

Previous articleবাংলার প্রতি অবিচার, বিরোধী ‘মহামঞ্চ’ করে মমতার পাশে জাতীয় স্তরের বিজেপি- বিরোধীরা
Next articleশুক্রবারই রাজ্যে অমিত শাহ, নিরাপত্তা নিয়ে ডিজিকে চিঠি CRPF-এর