রাজনীতির স্বার্থেই কৃষকদের ব্যবহার, ফের বিরোধীদের তোপ মোদির

নতুন তিন কৃষি আইনের (farm law) প্রতিবাদে কৃষক বিদ্রোহকে ফের বিরোধীদের ‘রাজনীতি’ বলে দাগিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (prime minister narendra modi)। দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের (farmers protest) তেইশ দিনের মাথায় এই ইস্যুতে বিরোধীদের (opposition) ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন তিনি।

গতকাল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) কৃষক বিক্ষোভের মামলায় বলেছিল, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার আছে কৃষকদের। তাঁদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনার স্বার্থে প্রয়োজনে কৃষি আইনের প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রাখা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেয় শীর্ষ আদালত। যদিও তারপরেও খোদ প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এই বিষয়ে সব দায় বিরোধীদের উপর চাপাতে চাইছেন তাতে আদালতের নতুন প্রস্তাব কেন্দ্র আদৌ গ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।

আরও পড়ুন : কৃষি আইন: আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চলুক, বলল সুপ্রিম কোর্ট

গতকাল কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (narendra singh tomar) একদিকে আট পাতার চিঠির মাধ্যমে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার দাবি জানিয়েছেন, অন্যদিকে কৃষক বিক্ষোভকে লঘু করে দেখাতে চেয়েছেন। কেন্দ্রের মন্ত্রীদের বক্তব্য, বর্তমান কৃষক আন্দোলন শুধুমাত্র পাঞ্জাব, হরিয়ানার মত দু-একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ। গোটা দেশে এই আন্দোলনের কোনও প্রভাব নেই।

শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে কৃষি সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিরোধীদের অবস্থানকে কটাক্ষ করে মোদি বিরোধী দলগুলির পুরনো প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজ ২৫ বছর আগে করা উচিত ছিল তা আজ করতে হচ্ছে। কৃষকদের যে দাবিগুলিকে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছিল, তা এখন মেনে নেওয়া হয়েছে। মোদির কথায়, কৃষকদের জন্য নতুন আইন রাতারাতি আসেনি। গত দুই দশক ধরে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি এনিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল।

প্রধানমন্ত্রী মোদির কটাক্ষ, বিরোধীরা তাঁদের ইস্তেহারে এই সংস্কারের পক্ষে কথা বলতেন, কিন্তু কখনও এটি প্রয়োগ করার সাহস দেখাননি। বিরোধী দলগুলির পুরোনো ইস্তেহার দেখলে দেখা যাবে নতুন কৃষি আইনেও একই বিষয় রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, যেহেতু মোদি এই কাজ করে দিয়েছে, তাই বিরোধীদের এত সমস্যা। আমি বলছি, মোদিকে কৃতিত্ব দিতে হবে না, কিন্তু আপনারা কৃষকদের ভুল বোঝানো বন্ধ করুন। বিরোধীদের নিশানা করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, আমাকে কৃতিত্ব না দিয়ে আপনাদের পুরোনো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে কৃতিত্ব দিন। আমি কৃষকদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছি, আপনারা কৃষকদের বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে কাজ হাসিল করার চেষ্টা হচ্ছে।

Previous articleসোমবার স্পিকারের কাছে যাব, জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু
Next articleবঙ্গে ২০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে রণনীতি সাজালো পদ্ম, ৮ মন্ত্রীকে বাড়তি দায়িত্ব