উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট মোড়ে তিন ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে ” আমরা দিদির অনুগামী” হোর্ডিং লাগিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। শুক্রবার মাঝরাতে এই ধরণের হোর্ডিংগুলি ভেঙে দেয় প্রতিপক্ষ। অভিযোগ, পাশের রাস্তায় অমিত শাহর কনভয় যাবার পথ সাজানোর সময় রাতে এগুলি ভেঙেছে বিজেপির বহিরাগতরা।

এদিন সকালেই এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বেলা বাড়তেই বিশাল সংখ্যক তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। প্রথমে সভা হয়। তারপর দুমিনিটের প্রতীকী মানবশৃঙ্খল। ছুটে আসে পুলিশ। তারপর আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা পর্যন্ত মিছিল এবং ডেপুটেশন।

তৃণমূল নেতারা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা দোষীদের শাস্তি চান। সেই সঙ্গেই ঘোষণা- আজই সন্ধের মধ্যে আবার লাগানো হবে হোর্ডিংগুলি। তৃণমূলের সৌজন্যকে যেন দুর্বলতা বলে ভুল না করা হয়। তৃণমূল কখনও বিজেপির হোর্ডিং ভাঙতে যায়নি। কিন্তু বিজেপি যদি ধারাবাহিক অসভ্যতা করে, তাহলে বিজেপির ভাষাতেই জবাব যাবে।
সুকিয়া স্ট্রিট মোড়ে কয়েক হাজার কর্মীসমর্থক ছিলেন কুণাল ঘোষ, জীবন সাহা, জয় বক্সি, সাধনা বসু, প্রিয়াল চৌধুরী, মিনাক্ষী গুপ্ত, মৃত্যুঞ্জয় পাল, প্রিয়াঙ্ক পাণ্ডে, ভাস্কর চৌধুরী, মহম্মদ সমীরুদ্দিন, জয় মুখোপাধ্যায়, সমীর ঘোষ প্রমুখ। থানার সামনে চলে আসেন বিধায়ক স্মিতা বক্সি।

জনসাধারণের কথা ভেবে মোড় পুরো অবরোধ হয়নি। মাত্র দুমিনিটের জন্য গোটা বৃত্তে মানবশৃঙ্খল হয়। কর্মীদের উদ্দীপনা ছিল দেখার মত। এলাকার মানুষও সামিল হন। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে।