করোনা আবহে “কল্পতরু” নয় কাশীপুর উদ্যানবাটী

নতুন বছরের প্রথম দিন। প্রতি বছরের মতোই এদিনও সকাল থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দির (Dakshineswar) ও কাশীপুর উদ্যানবাটীতে (Kashipur Udyanbaati) মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে শ্রীরামকৃষ্ণ স্মরণ উৎসব৷ তবে পার্থক্য একটাই। এবারের পুজো পাঠ, অনুষ্ঠান সম্পূর্ণটাই হচ্ছে অনলাইনে (Online)। ভক্ত সমাগম ছাড়াই।

করোনা (Covid 19) আবহে এই বছর কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ঢুকতে পারবেন না ভক্তরা। তবে প্রতিবারের মতো প্রথা মেনেই পুজো হচ্ছে। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয়েছে পুজো৷ এরপর সারাদিনই রীতিনীতি মেনে পালিত হবে কল্পতরু উৎসব৷ দিনভর চলবে হোম, ভক্তিগীতি, বেদপাঠ, রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ প্রভৃতি৷

 

কল্পতরু অর্থাৎ যে মনস্কামনা পূরণ করে৷ জীবনের শেষলগ্নে ১৮৮৫ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৮৮৬ সালের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ (Shri Ramkrishna Paramhangsha)। ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি। শ্রীরামকৃষ্ণ তখন দুরারোগ্য কর্কট রোগে আক্রান্ত। সে দিন কাশীপুর উদ্যানবাটিতে জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে কল্পতরু হন তিনি। নির্বিকল্প সমাধিতে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণের আশ্বাস দেন।

ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে আজও বিশেষ পুজোপাঠ হয় দক্ষিণেশ্বর এবং কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। তবে এই বছর ভক্তসমাগমে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কাশীপুর উদ্যানবাটির পর এবার দক্ষিণেশ্বর, করোনা আবহে ভক্ত সমাগম ছাড়াই হচ্ছে কল্পতরু উৎসব।

Previous articleএক খিলি পান ১০০১ টাকা, শহরবাসীকে আজও তৃপ্ত করছে ঐতিহ্যবাহী ‘কল্পতরু’
Next article‘কটাক্ষ’ এখন অতীত, জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাবুল সুপ্রিয়