দিন কুড়ি আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে নাবালিকা বেরিয়ে গিয়েছিল বাড়ি থেকে। বহু খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে চুঁচুড়া (Cinsura) থানার দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। দু’দিন পর থানা থেকে খবর দেওয়া হয় তাদের। কন্যাকে হাওড়া প্ল্যাটফর্মের (Platform) ঘুরতে দেখে জিআরপি (grp) হাওড়া চাইল্ড লাইন (Child Line) মারফৎ লিলুয়া হোমে পাঠিয়ে দেয়। এরপরই পরিবারের লোক যোগাযোগ করে হোমের সঙ্গে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে পরিবার ফিরে পায় তাদের মেয়েকে। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু মেয়েকে যখন নিয়ে আসতে গিয়ে দেখে মেয়ে অভিভাবকরা দেখেন শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ সে। তার থেকেও বড় বিষয় তার হাতে সেফটিপিন দিয়ে খোদাই করে দিয়েছে হোমের বড় দিদিদের নাম।

মেয়েটি জানায়, হোমে থাকাকালীন এই ‘দিদিরা’ তার ওপর নির্যাতন চালাত। তারপর একদিন সেফটিপিন দিয়ে তাদের তিন জনের নামের আদ্যক্ষর খোদাই করে দিয়েছে। যাতে সে সারাজীবন তাদের মনে রাখে। এই অবস্থা দেখার পর অবাক হয়ে যায় নাবালিকার পরিবার।

আরও পড়ুন:ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন খ্যাতনামা চিত্রসাংবাদিক বিশ্বরূপ বসাক

খবর পাওয়া মাত্রই নির্যাতিতার বাড়িতে যান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি এই সরকারি হোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। হোমের অবস্থা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেন তিনি। প্রতিটি বাংলার হোমগুলিতে এই ধরণের ঘটনা চলে বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলে জানান।
