কে ছিল জুনিয়রের বাইকে? জানতে দিনভর মৃধা দম্পতির সামনে জেরা প্রিয়াঙ্কাকে

তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই একের পর এক এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের (Cbi) তদন্তে। জুনিয়র মৃধা (Junior Mrida) খুনে এখনও কিছু ধোঁয়াশা কাটেনি তদন্তকারীদের। সেই কারণেই শুক্রবার সিজিও (Cgo) কমপ্লেক্সে জুনিয়র বাবা-মা সমরেশ ও শ্বেতা মৃধার সামনে খুনে মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে বসিয়ে ম্যারাথন জেরা করা হয়।

জানতে চাওয়া হয়, খুনের রাতে রাতে কখন ঠিক কী ঘটেছিল?  কারণ, ওই রাতে জুনিয়র খুনের পর তাঁরই মোবাইল থেকে প্রিয়াঙ্কার কাছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ফোন গিয়েছিল। যেখানে তরুণ ইঞ্জিনিয়রের মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাত ৯টা ২০ মিনিটে ফোনে জুনিয়র ও প্রিয়ঙ্কার মধ্যে শেষ কথা হয়। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে জুনিয়রের মোবাইল থেকে শেষ মেসেজ যায় প্রিয়াঙ্কার ফোনে। সেখানে লেখা হয়, “আজ তোমার স্বামী বাড়িতে নেই। তাহলে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করলে না কেন?”

গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের উত্তর দেননি প্রিয়াঙ্কা। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জুনিয়র মৃধার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে প্রিয়ঙ্কাকে কল করেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে কলে বলা হয়, ছেলেটি মারা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, যে সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইকে সিআইডি (Cid) দিয়েছে, তাতে দেখা যায় ২০১১ সালের ১২ জুলাই রাত ৮ টা ৪৫ নাগাদ সল্টলেক ৯ নম্বর ট্যাংকের কাছে জুনিয়র মৃধার বাইকে এক যুবক বসে আছেন। কে সেই যুবক?  ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে জুনিয়রের কোমরের দিকে গুলি করা হয় এবং সেটি তাঁর পা ভেদ করে চলে যায়। এর থেকে অনুমান করা হচ্ছে, পিছন থেকেই তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে তাঁর পিছনে বাইকে যিনি বসেছিলেন তিনি মূল আততায়ী কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সে ক্ষেত্রে তার পরিচয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই তদন্তে।

আরও পড়ুন:অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে অপহরণ করে খুন

Advt

Previous articleবেঙ্গালুরু এফসি বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট চাইছেন ব্রাইট
Next articleআদি-বিজেপির প্রবল বিক্ষোভে ভেস্তে গেলো নন্দীগ্রামের সভায় তৃণমূল বিধায়কের দলবদল