রাস্তা ফেরাতে হবে বিশ্বভারতীর হাতে৷ বিশ্বভারতীর (Viswabharati) ছাতিমতলায় এই দাবিতে অনশন-অবস্থান শুরু হয়েছে ৷ অবস্থানে বসেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও (ViceChancellor Bidyut Chakraborty)৷
দাবি, রাজ্যের পূর্ত দফতরকে এখনই বিশ্বভারতীর রাস্তা ফিরিয়ে দিতে হবে৷ ওদিকে, শুক্রবার রাতে উপাসনা গৃহের চারদিকে লাগানো হয়েছে বিজেপির (BJP) পতাকা। নিরাপত্তারক্ষীরা শনিবার সকালেই সেই সব পতাকা খুলে নিয়েছে । এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কিছুদিন আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতনের কিছু রাস্তায় পাঁচিল দেওয়ায় পূর্ত দফতরের রাস্তা ফেরত নেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। তখন তিনি বীরভূম সফর করছিলেন৷ পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত বিশ্বভারতীর মধ্যে দিয়ে যাওয়া ৩.৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের সেই রাস্তা ফেরতের দাবিতেই শনিবার ঘণ্টাখানেকের প্রতীকী অনশন-অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
অন্যদিকে, উপাচার্যের বিরুদ্ধেও অবস্থানে বসেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। গেটের বাইরে উপাচার্যর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন কয়েকজন পড়ুয়া।
এদিকে এদিন সকালে যখন ছাতিমতলায় অনশন অবস্থানে বসছেন উপাচার্য-সহ একাধিক শিক্ষক-পড়ুয়া, তখন সেই এলাকায় বিজেপি-র একাধিক পতাকা ঝোলানো দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা তা দ্রুত সরিয়ে দিলেও শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির দাবি, তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তৃণমূল এই ষড়যন্ত্র করেছে। তৃণমূল পাল্টা বলেছে, শান্তিনিকেতনকে রাজনৈতিক আখড়া বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন:প্ররোচনা ছড়িয়ে হিংসায় মদত, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করল টুইটার