প্ররোচনা ছড়িয়ে হিংসায় মদত, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করল টুইটার

নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই লাগাতার তথ্যহীন অভিযোগ করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নানাভাবে তাঁর সমর্থকদের উস্কানি দিয়ে উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কার্যত লোক খ্যাপানোর কাজ করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চড়া সুরে তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল (capitol building) বিল্ডিংয়ে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প ভক্তরা। মার্কিন আইনসভার ভিতরে ঢুকে ট্রাম্প সমর্থকদের বেপরোয়া সশস্ত্র তান্ডব দেখে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। এই বেনজির কাণ্ডের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ। এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা স্থায়ীভাবে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটি (Twitter account) ব্লক (permanently blocked) করে দিল। শুক্রবার ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা টুইটার জানিয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রে ফের হিংসার পথ নিতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

টুইটারের পক্ষ থেকে একটি ব্লগ পোস্ট করে বলা হয়, হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার ঝুঁকির কারণে আমরা ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটিকে স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করেছি। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করার সঙ্গে সঙ্গে টিম ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ডও সাসপেন্ড করেছে টুইটার। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকারি ‘POTUS’ অ্যাকাউন্টের টুইটগুলিকে মুছে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ট্রাম্পের টুইট লাগাতার হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বলে দাবি টুইটারের। এইসব টুইটের ফলেই নজিরবিহীন সংঘর্ষ হয়, যা আমেরিকার ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। ট্রাম্পের একাধিক টুইট থেকেই যে প্ররোচনা ছড়ানো হয়েছে এবং সমর্থক- ভক্তদের খেপিয়ে তোলা হয়েছে তা স্পষ্ট। আর এই কারণেই এর আগেও ১২ ঘণ্টার জন্য ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার থেকে তা পাকাপাকিভাবে ব্লক করা হচ্ছে বলে জানাল টুইটার।

আরও পড়ুন-করোনার নয়া স্ট্রেন : ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের ৭ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার

Advt

Previous articleএ মাসেই ঘোষণা হবে নতুন দল, জানালেন আব্বাস
Next articleরাস্তা ফেরতের দাবিতে ছাতিমতলায় অনশন- অবস্থানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য