হোয়াটসঅ্যাপ বনাম সিগন্যাল: ডেটা সংগ্রহের বিষয়ে কোনটা নিরাপদ? চিন্তায় ব্যবহারকারীরা

ফেসবুক (Facebook), মেসেঞ্জার (Messenger), হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), সিগন্যাল (Signal), টেলিগ্রাম (Telegram)… তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরণের জন্য যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলির তালিকা আরও লম্বা। কিন্তু কতটা নিরাপদ এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি (Application)? ব্যবহারকারীদের তথ্য বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে না তো? জানেন কি আপনার গোপন তথ্য কতটা সুরক্ষিত?

সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন গোপনীয়তা নীতি নিয়ে ঝড় উঠেছে। অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের তুলনায়, তাত্ক্ষণিক বার্তাপ্রেরণের (Instant messaging ) এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে যথেষ্ট নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। তবে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের একটি সিদ্ধান্ত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোটি কোটি ইউজারের। জানানো হয়েছে, এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, মূল তথ্য ফেসবুকের সাথে তথ্য ভাগ করবে। আর এতে ইউজারের গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে বলেই মনে করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা (Cyber Experts)।

আরও পড়ুন : ২৬/১১-র মাস্টারমাইন্ড লস্কর জঙ্গি লকভিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল পাক আদালত

এই অবস্থায় টেলিগ্রাম এবং সিগন্যালের মতো অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে স্যুইচ করার বিষয়ে গুঞ্জন উঠেছে। এমনকি, অ্যাপল অ্যাপ স্টোরটিতে (Apple App Store) গোপনীয়তার বিবরণ অনুসারে টেসলার সিইও এলন মাস্কও (Tesla CEO Elon Musk ) টুইট করেছেন “ইউজ সিগন্যাল”।

কী এই সিগন্যাল অ্যাপ?

সিগন্যাল, একটি সর্বাধিক ব্যক্তিগত মেসেজিং অ্যাপ যা কোনও ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে না। আর হয়তো সেই কারণেই, এই মেসেজিং অ্যাপটি বিশ্বজুড়ে সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, গোপনীয়তা গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকেন। সিগন্যালের প্রোটোকল হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনকেও নির্দেশ করে, যদিও এর মধ্যে একটি মূল পার্থক্য হ’ল সিগন্যালটি মুক্ত উত্স, যা হোয়াটসঅ্যাপ নয়।

হোয়াটসঅ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জারের সঙ্গে সিগন্যাল বা টেলিগ্রাম অ্যাপ্লিকেশনের মূল পার্থক্য হল, এগুলি আপনার তথ্য সংগ্রহ করে না। ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে শুধুমাত্র আপনার ফোন নম্বর স্টোর করা হয়। যদিও, সেটি আপনার পরিচয়ের সাথে লিঙ্ক করার কোনও প্রচেষ্টা করা হয় না। সেদিকে অ্যাপ স্টোর ঘাঁটলে দেখা যায়, মেসেঞ্জার অ্যাপটি সর্বাধিক তথ্য অর্জন করে। তালিকার দ্বিতীয় নাম হোয়াটসঅ্যাপ। উভয় অ্যাপ্লিকেশন সংগ্রহ করা তথ্যের তালিকার মধ্যে ব্যবহারকারীর একাধিক গোপন তথ্য থাকে, যেমন আর্থিক তথ্য, অবস্থানের বিশদ, পরিচিতি, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি, বাড়ির ঠিকানা ইত্যাদি। যেগুলি হ্যাকারদের হাতে গেলে বড়োসড়ো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে ব্যবহারকারীদের।

Advt

Previous articleকরোনার নয়া স্ট্রেন : ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের ৭ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার
Next articleবিক্ষোভের মুখে মুকুল রায়! ভাইরাল ভিডিও