ডিজিটাল পাসওয়ার্ডে সেন্ট্রালি লক করা ভ্যাকসিনবন্দি কুলার

গত ১৫০ বছরে নাকি এমন দুর্মূল্যের ভ্যাকসিন(costliest vaccine) বাজারে আসেনি। তাই করোনার ভ্যাকসিন (Corona vaccine ) নিয়ে অসম্ভব রকমের কড়াকড়ি। ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুলগুলোকে ( vaccine ampoules) রাখা হয়েছে ওয়াকিং কুলারে (stored in walking cooler)। যে কেউ চাইলেই ইচ্ছেমতো ভ্যাকসিনের (Vaccine) অ্যাম্পুল বের করতে পারবেনা ওয়াকিং কুলার থেকে। প্রতিটি অ্যাম্পুলের হিসেব দিতে হবে আইসিএমআরকে( icmr)। ওয়াকিং কুলারের বাইরে থাকছে কড়া পুলিশি প্রহরা। পাশাপাশি রয়েছে ডিজিটাল পাসওয়ার্ডও (digital password) । সেই পাসওয়ার্ড দিলে রাজ্যের সবক’টি ওয়াকিং কুলার একসঙ্গে খুলবে আবার একসঙ্গে বন্ধ হবে। এক কথায় বলতে গেলে ভ্যাকসিন সংরক্ষণে কার্যত বজ্র আঁটুনির ব্যবস্থা হয়েছে রাজ্যে।

দমদম বিমানবন্দর থেকে কোভিশিল্ড এনে মজুত করা হয়েছে বাগবাজারের নির্দিষ্ট স্টোরেজ সেন্টারে । এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ৩৪টি ওয়াকিং কুলার রয়েছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও ১৯টি কুলার পাওয়া গিয়েছে। আর এই সবক’টি কুলার স্টেশনকে কার্যত দুর্গ বানিয়ে ফেলেছে রাজ্য সরকার। কীরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Tight Security) থাকছে এই স্টেশনগুলিতে?

ওয়াকিং কুলার ঘিরে রাখছে পুলিশ। রাজ্যের সবক’টি ওয়াকিং কুলার একসঙ্গে খুলবে ও বন্ধ হবে। এর জন্য চাই ডিজিটাল পাসওয়ার্ড। যা সরাসরি স্বাস্থ্যভবন থেকে ইনপুট করা হবে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্তা সেই পাসওয়ার্ড জানবেন। একসঙ্গে চারজন কুলার স্টেশ byনে ঢুকতে পারবেন। তাও কয়েক মিনিটের জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ মিটিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। নয়তো বন্ধ হয়ে যাবে কুলার স্টেশনটি ফলে ভিতরেই আটকে থাকতে হবে তাঁদের। কুলার স্টেশনের ভিতরে ও বাইরে থাকছে সিসিটিভি। সেই ফুটেজে সরাসরি স্বাস্থ্যভবন থেকে নজরদারি চলবে। ক’টি অ্যাম্পুল বের হল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব স্বাস্থ্যভবনকে দেবে জেলাগুলি। ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে সেই তথ্য চলে যাবে আইসিএমআর-এর কাছে।

Advt

 

 

Previous articleসপ্তাহ খানেকের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত
Next articleবিমল গুরুংয়ের দলে ভাঙন: ২ কেন্দ্রীয় কমিটি নেতা বিজেপিতে, কটাক্ষ গৌতম দেবের