Tuesday, November 18, 2025

মুখে কালি মেখেই বিদায় ট্রাম্পের, প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয়বার ‘ইমপিচড’

Date:

Share post:

এমনিতেই প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর আয়ু ছিলো আর মাত্র এক সপ্তাহ৷ সাতদিন পরে তাঁকে ছাড়তেই হবে হোয়াইট হাউস৷

অথচ নিজের কুকীর্তির জেরে মেয়াদ শেষের আগেই দ্বিতীয়বারের জন্যে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হন ডোনাল্ড ট্রাম্প ( Donald Trump) এবং নজিরবিহীন ভাবে মার্কিন ইতিহাসে ট্রাম্প-ই হয়ে গেলেন প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে দ্বিতীয়বার ইমপিচড (Impeached) করলো হাউস। ক্যাপিটল হামলার জেরেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যদের। এবং ট্রাম্পের পক্ষে এতটাই লজ্জার যে তাঁর নিজের দল, রিপাবলিকানের ১০ জন সদস্যও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেন।
বিদায়বেলায় কলঙ্কিত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আপাতত যাবতীয় নজর সেনেটের দিকে। হাউসের প্রস্তাব কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে পাঠানোর পর সেখানে ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্টের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সেনেটরের ভোট পড়তে হবে। তাহলে ইমপিচড হবেন ট্রাম্প। তবে হাতে আর মাত্র সাতদিন থাকায় ট্রাম্প যে মেয়াদ শেষের আগে ক্ষমতাচ্যুত হবেন না, তা প্রায় নিশ্চিত। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ট্রায়াল চলবে। রিপাবলিকান সেনেট নেতার মিচ ম্যাককোনেলের কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের ট্রায়াল শুরু হবে। তার পরেরদিনই ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাতে ট্রাম্পকে ভবিষ্যতে কখনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে দেওয়ারও সওয়াল করা হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলায় সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার জন্যই ট্রাম্পকে ইমপিচড করলেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রতিনিধিরা। আমেরিকার সুদীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্ট দু-দু’বার ইমপিচড হলেন। প্রথমবার ট্রাম্প ইমপিচড হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তির জন্য৷

ক্যাপিটলের বাইরে ও ভিতরে জাতীয় সুরক্ষা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ২৩২-১৯৭ ভোটে পাশ হয়ে যায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব৷ প্রথমবার যখন ইমপিচড হয়েছিলেন, তখন তাঁর দল রিপাবলিকানের সদস্যরা ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার ‘বিদ্রোহে প্ররোচনা’-র অভিযোগে ডেমোক্র্যাটরা যে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তাতে ভোট দিয়েছেন ১০ রিপাবলিকান প্রতিনিধিও।
ইমপিচমেন্টের বিতর্ক শুরুর আগে আব্রাহাম লিঙ্কন এবং বাইবেলকে উদ্ধৃত করে সংবিধানের রক্ষার জন্য সমস্ত আইনপ্রণেতারা যে শপথ নিয়েছিলেন, তা মেনে কাজ করার আর্জি জানান হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
স্পিকার বলেন, “ট্রাম্পের এখনই যাওয়া উচিত৷ আমরা যে দেশকে ভালোবাসি, সেই দেশের পক্ষে বিপজ্জনক উনি।”
বুধবার ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া যখন চলছিল, তখন হোয়াইট হাউসে ছিলেন ট্রাম্প। চোখ রেখেছিলেন টিভিতে। হিংসার কোনও দায়ভার না নিয়ে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, হোয়াইট হাউসে জো বাইডেনের প্রবেশ ব্যাহত করতে ‘কোনও হিংসা, কোনও আইনভঙ্গ এবং কোনওরকম হাঙ্গামা’ যেন না করা হয়। যদিও এফবিআইয়ের আশঙ্কা, আগামিদিনে আরও হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

spot_img

Related articles

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগে সুখবর: ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের আশ্বাস, বুধবার থেকে পোর্টালে আবেদন গ্রহণ

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ নিয়ে সুখবর। বুধবার, থেকেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ...

দিতিপ্রিয়া-জিতু দ্বন্দ্ব সমাধানের বৈঠক নিষ্ফলা! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন অভিনেতা

টেলিপর্দার জনপ্রিয় জুটি আর্য-অপর্ণার ভবিষ্যৎ কি, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জল গড়িয়েছিল চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থার মিটিং পর্যন্ত। কিন্তু 'চিরদিনই...

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলার শ্রীবৃদ্ধি! উদ্যোগের খতিয়ান পোস্ট তৃণমূলের

রাজ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমলে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও (Heath Sector) হয়েছে...

আত্মঘাতী হামলাকারী নিয়ে সমাজের ধারণা ভুল! ভিডিও প্রকাশ উমরের

দিল্লির লালকেল্লার (Delhi Red Fort) কাছে বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেই বিস্ফোরণে মূল চক্রী...