জোট ধরে রাখতে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে (CONGRESS) সর্বোচ্চ ১০০ আসন ছাড়তে পারে সিপিএম ( CPIM)৷
বাকি ১৯৪ বিধানসভা কেন্দ্র শরিকদের সঙ্গে ভাগাভাগির প্রাথমিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে আলিমুদ্দিন৷ তবে ২০১৬-র মতো এবারও কিছু আসন গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি বা সংগঠনের জন্য ছাড়তে চায় সিপিএম। এমনকী ফুরফুরার আব্বাস সিদ্দিকিরা ( ABBASH SIDDIQUI) গ্রহণযোগ্য শর্তে সমঝোতায় এলে তাদের জন্যও আসন ছাড়া হবে৷
১০০ আসনে কংগ্রেস ‘সন্তুষ্ট’ না হলে বাম-শিবিরে আসন নিয়ে কোন্দলের আশঙ্কা পুরোমাত্রায়৷ পরিস্থিতি তেমন হলে সিপিএম কোন পথে হাঁটবে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না৷ বিধান ভবনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে আলিমুদ্দিন৷
সিপিএম সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূলের মোকাবিলায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সিপিএম৷ তাই ‘বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে’ নিজেদের ভাগ থেকে আরও বেশি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তেও প্রস্তুত সিপিএম।
তৃণমূল এবং বিজেপিকে পরাস্ত করতেই কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট হয়েছে। আসন বন্টনের প্রশ্নে জোট শরিক হিসাবে বেশি আসন দাবি করেছে কংগ্রেস। এই দাবিতে যাতে জোট ভেঙ্গে না যায়, তাই নিজেদের ভাগ থেকে আরও বেশি আসন ছাড়তেও তৈরি সিপিএম। কংগ্রেসের জন্য ১০০ আসন ছেড়ে ঘরোয়া হিসেব তৈরি করে ফেলেছে তারা।
সিপিএম রাজ্য কমিটি এবং ফ্রন্টের বৈঠকে এই ভাগাভাগির হিসাব নিয়েই আলোচনা হয়েছে৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, কংগ্রেস যদি ১০০ আসন চায় তাহলেও তাতে রাজি সিপিএম।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস এবং বামেদের আসন সমঝোতা হয়েছিল। কংগ্রেস তখন
৯২ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিএমের প্রার্থী ছিল ১৪৮ আসনে। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক ২৫, আরএসপি ১৯ এবং সিপিআই ১১ আসনে লড়েছিল। আর বাকি আসনে হয়েছিল ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’, যেখানে কংগ্রেস ও বাম শরিক, দু’তরফেরই প্রার্থী ছিল। প্রসঙ্গত, দুই শিবিরে আলোচনার ভিত্তিতেই গতবার ৭ আসনে অম্বিকেশ মহাপাত্র, প্রতিমা দত্তদের মতো কিছু নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। এবারও কিছু আসন গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি বা সংগঠনের জন্য ছাড়তে চায় সিপিএম। এমনকী ফুরফুরার আব্বাস সিদ্দিকিরা গ্রহণযোগ্য শর্তে সমঝোতায় এলে তাদের জন্যও আসন ছাড়া হবে৷ তবে সব কিছুই নির্ভর করছে কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত কত আসনের দাবি নিয়ে রফা করবে, তার উপরে।
আরও পড়ুন- কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক ফের নিস্ফলা, ১৯ শে পরবর্তী আলোচনা