ভিনগ্রহীর অস্তিত্ব নিয়ে বহু বছর ধরেই জল্পনা জারি রয়েছে বিজ্ঞানীদের(scientist) মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে মাঝেই এবার বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেডে(ganymede) এলিয়েনদের(alien) অস্তিত্বের সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উঠল। সম্প্রতি নাসার একটি স্পেস ক্রাফট এই উপগ্রহে এমন এক রেডিও তরঙ্গে অস্তিত্বের সন্ধান পেল যা পৃথিবীর বৈজ্ঞানিক মহলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই সিগন্যাল আর কিছুই নয়, রেডিও তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল। ফলস্বরূপ বৃহস্পতির উপগ্রহ প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছে। আর এই প্রাণ কোনও সাধারন জীবের নয় মানুষের মতোই কিংবা মানুষের থেকে উন্নত কোনও ভিনগ্রহী। তবে ভিনগ্রহী তত্ত্ব নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয় নাসা।
নাসার তরফে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জুনো (JUNO) নামে নাসার একটি স্পেস ক্রাফট বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করে। বর্তমানে বৃহস্পতির খুঁটিনাটি জানতে তার কক্ষপথে অবস্থান করছে এটি। সম্প্রতি সেখানেই বৃহস্পতির ৭৯ টি উপগ্রহের মধ্যে একটি উপগ্রহ গ্যানিমেড থেকে একটি রেডিও তরঙ্গের সন্ধান পায় জুনো। যা আগে কখনো ধরা পড়েনি। এরপরই জল্পনা শুরু হয়। যদিও এই সিগনাল যে ভিনগ্রহীর প্রমাণ তা মানতে নারাজ নাসার বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এই ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হয়তো কোনও প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটে থাকবে। আর এর জেরেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি নামে এক প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সাধারণত কোনও তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্রে ঘটে থাকে এই ধরনের প্রক্রিয়া। এর জেরে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। জুনো মহাকাশযানটি সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘মহিলা না হলে কলার ধরে…’, SDM-কে হুমকি দিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস বিধায়ক
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মহাকাশে জুনো নামের এই মহাকাশযানটি পাঠিয়েছিল নাসা। মহাকাশে তার একাধিক মিশন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তারমন কাজ ছিল সৌরজগতে সম্পূর্ণ অভিযান চালানো। বিভিন্ন গ্রহের সম্পর্কে বিশদ তথ্য তুলে আনা। বর্তমানে এই মহাকাশযানটির অবস্থান রয়েছে বৃহস্পতির কক্ষপথে। আর সেখান থেকেই ধরা পড়ল সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো এই রেডিও সিগন্যাল।