২০১৯-এ প্রকাশ্যে এলেও চিনে করোনা অনেক আগেই, দাবি উহানের বিজ্ঞানীদের

করোনার(coronavirus) উৎস কোথা থেকে গত দুই বছর ধরে এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের। জল্পনায় কখনও স্থান নিয়েছে সামুদ্রিক মাছ, বন্য জীবজন্তু এবং সর্বাগ্রে বাদুড়। সম্প্রতি ভাইরাসের উৎস খুঁজতে ও উহান সফরে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(World health organisation) একটি বিশেষজ্ঞ দল। তার আগেই অবশ্য উঠে এলো আরো এক বিস্ফোরক তথ্য।

সম্প্রতি চিনের বিজ্ঞানীরা তরফে দাবি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই ভাইরাস ব্যাপক আকার নিলেও এর শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সাল থেকে। চিনের(China) উহান ল্যাবের বিজ্ঞানীদের স্বীকারোক্তি, একটি গুহা থেকে বাদুরের নমুনা সংগ্রহ করার সময় বাদুরের কামড় লেগেছিল। উহানের ল্যাবের এক গবেষক বলেছেন, নমুনা সংগ্রহের সময় একটি বাদুরের পাখনার অংশ তাঁর হাতে থাকা রবারের গ্লাভসের মধ্যে দিয়ে হাতে লেগেছিল ছুঁচের মতো। সেটা ছিল ২০১৭ সালের ঘটনা। সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে বিষয়টি আর এই ঘটনার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত বর্তমানে চিন সফরে থাকা হু-এর বিজ্ঞানীরা। সঙ্গত গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল উহানে গিয়েছে। যে দলে রয়েছেন ১৩ জুন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। তাদের লক্ষ্য করোনার উৎস খুঁজে বের করা।

আরও পড়ুন:এখনই বঙ্গ থেকে বিদায় নিচ্ছে না শীত, আরও নামবে পারদ

অন্যদিকে গত বছর জুন মাসে করোনার সংক্রমণ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল চিন। যেখানে জানানো হয়, উহানে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২৭ ডিসেম্বর। আর ১৯ জানুয়ারি প্রথম বোঝা যায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি এবং মারণ ক্ষমতা। ৬ জুন আমেরিকায় বিশ্বের ৮ টি দেশকে নিয়ে তৈরি হয় ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না। তারপরেই চিন এই তথ্য দেয়। চিনের তরফে দাবি করা হয়, ২৭ ডিসেম্বরের পরেই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি হয় দেশে। পাশাপাশি টেস্টও শুরু হয়। কিন্তু ভাইরাসটি অতি সংক্রামক হওয়ায় তা রোখা যায়নি। সেই সময় বাদুড় কিংবা প্যাঙ্গোলিন থেকে করোনা ছড়ানো সন্দেহ করা হলেও, তার স্বপক্ষে প্রমাণ হাতে আসেনি।

Advt

Previous articleএখনই বঙ্গ থেকে বিদায় নিচ্ছে না শীত, আরও নামবে পারদ
Next articleশ্যামনগরে চা-চক্রে কটাক্ষের মেজাজে দিলীপ