১০ ঘন্টার নোটিশে মিছিল করে দক্ষিণ কলকাতায় শুভেন্দু-দিলীপকে ১০ গোল তৃণমূলের

মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘন্টার নোটিশে দক্ষিণ কলকাতায় আজ, মঙ্গলবার পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল করালো তৃণমূল( Tmc)  কংগ্রেস(  Congress )৷ মূলত, রাসবিহারী ও টালিগঞ্জ বিধানসভা অঞ্চল নিয়ে এই মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। আর তাতেই জনজোয়ার। মিছিলে ব্যাপক সাড়া মেলার পর রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ( arup biswas) দাবি, শুভেন্দু অধিকারী( suvendhu adhikari) ও দিলীপ ঘোষের ( dilip ghosh) মিছিলকে টেক্কা দিয়ে ১০ ঘন্টার নোটিশে বিজেপিকে তাঁরা ১০ গোল দিয়েছেন। মিছিলের নেতৃত্বে অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত প্রমূখ। এদিন টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে প্রচুর মহিলা ও ছাত্রদের হাঁটতে দেখা যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

প্রসঙ্গত, গতকাল শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের রোড শোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকায়৷ শুভেন্দুর রোড শো লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ পাল্টা বিজেপি-র বিরুদ্ধেই প্রথমে হামলার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে একই পথে প্রতিবাদ মিছিল করে শাসক দল৷

গতকাল টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, মিছিল চারু মার্কেট এলাকাতে পৌঁছতেই তৃণমূলের বেশ কিছু সমর্থক শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন, মিছিল লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর৷ এর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পাল্টা তৃণমূল সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান বিজেপি সমর্থকরা৷ হাতের কাছে পেয়ে বেশ কয়েকটি বাইকও ভাঙচুর করেন বিজেপি সমর্থকরা৷ কয়েকটি বাড়িতেও হামলার অভিযোগ ওঠে৷ প্রায় আধ ঘন্টা ধরে এলাকায় এই অশান্তি চলে৷

ঘটনার পরে এলাকায় যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন দু’জনে৷ অরূপবাবু অভিযোগ করেনল বলেন, “আমাদের কয়েকজন কর্মী পতাকা লাগাচ্ছিলেন৷ কিন্তু মিছিল থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে প্রথম পাথর ছোড়া হয়৷ এলাকায় ঢুকে সাধারণ মানুষকে ভাঙচুর করা হয়, তাণ্ডব চালানো হয়েছে৷ বিজেপি বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে৷” এরপর প্রতাপাদিত্য রোডে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের দিকে তেড়ে যান বিজেপি কর্মী-সর্মথকরা ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। হাতের কাছে এক যুবককে পেয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ছিল তৃণমূলের।

এদিন প্রতিবাদ সভা শেষে হাজরা মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ মালা রায় বলেন, “দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি। ভবিষ্যতে যদি বিজেপি এখানে ফের গুন্ডামি করতে আসে, তাহলে শুধু পা নয়, মেরে মাথাও গুঁড়িয়ে দেবো।”

আরও পড়ুন:ফের ২ জইশ জঙ্গি ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের জালে, ভেস্তে গেল পাকিস্তানের অস্ত্র পাচারের ছক

Advt

Previous article‘মিথ্যে’ অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে, আইনি পদক্ষেপ অমর্ত্যর
Next articleকেন্দ্র-রাজ্যর কাছে একাধিক দাবি, তিনদিন বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক