অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কমিশনের কাছে দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন বিজেপির

রাজ্য সফরে আসা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করে। বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি জনিয়ে কমিশনে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।

গ্র্যান্ড হোটেলে বৈঠকের পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেছি। যাঁরা ভয়ের মধ্যে রয়েছেন তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। যাতে মানুষ নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা রাখতে পারে। এর আগে লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতে ৫০০টি আসনে ভোট নিয়ে কোনও অশান্তি হয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে অশান্তি হয়েছে। গুলি চলেছে। মারা গিয়েছে মানুষ। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে।”

একইসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি কমিশনের কাছে আবেদন করেন, নির্বাচন কমিশনের যারা দিল্লি অথবা অন্য রাজ্য থেকে আসবে তাঁদেরকেও সুরক্ষা দিতে হবে। বুথের মধ্যে সেন্ট্রাল ফোর্স রাখা উচিত। বুথের বাইরে থাকুক রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তা এখন থেকেই নিশ্চিত করা হোক।

তৃণমূলের তরফে কমিশনকে নালিশ জানিয়ে বলা হয়েছে, বিএসএফ সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “বিএসএফ নিজেদের অধিকারমতো সীমান্ত এলাকায় নজরদারি করে। কারণ সেগুলো সংবেদনশীল জায়গা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এটাও দেখুক।”

এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত, সব্যসাচী দত্তরা। মুকুল রায় জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কমিশনকে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা তাঁরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:ফের কাঠগড়ায় অর্ণব: প্রসার ভারতীর প্রায় ১০ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে

Advt

Previous articleফের কাঠগড়ায় অর্ণব: প্রসার ভারতীর প্রায় ১০ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে
Next articleনেতাজির জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে বদলাচ্ছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়লের নাম: সূত্র