৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর জুনে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন

কংগ্রেসের(Congress) নয়া সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর আগামী জুন মাসে। শুক্রবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির(CWC) বৈঠকে দলের সমস্ত সদস্যের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কংগ্রেসের দুই শিবিরের মধ্যে ব্যাপক বাদানুবাদ হয়। তখন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) বলেন, ‘অনুগ্রহ করে সকলের জন্য এই সিদ্ধান্ত আরো একবার নেওয়া উচিত।’

এদিনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর কংগ্রেস মহাসচিব কেসি বেণুগোপাল(KC Venugopal) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দলের ওয়ার্কিং কমিটির তরফ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী জুন মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হবে।’ এদিনের বৈঠকের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মুকুল বাসনিক, পি চিদম্বরমের মতো নেতৃত্বরা সভাপতি নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই নেতৃত্বরাই দেশে একাধিক রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেসের দুর্দশার পর নেতৃত্বে বদলের পক্ষে সরব হয়েছিলেন। বৈঠকে দীর্ঘক্ষন ধরে বাদানুবাদ চলার পর অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর সভাপতি নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ নির্বাচন হবে।

আরও পড়ুন:পদ্ধতিগত বেনিয়মে ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি, রাজীবকে মন্ত্রিসভা থেকে সরালেন মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) এরপর আভ্যন্তরীণ সভাপতি হিসেবে দল সামলান সোনিয়া। রাহুল গান্ধী নিজের ইস্তফার সঙ্গে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি আর কখনোই সভাপতি পদে আসবেন না। এমনকি গান্ধী পরিবারের কাউকে দলের সভাপতি করা হবে না বলেও জানান তিনি। এরপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে দলের অন্দরে ক্ষোভ তত তীব্র হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের গা-ছাড়া মনোভাবের জন্য পার্টির নীতির দিকে আঙুল তুলেছেন বিক্ষুব্ধ বহু নেতা। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে একবার বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। যেখানে গোটা দেশের কংগ্রেস সংগঠনের বিপুল রদবদল করা হয়।

Advt

Previous articleপদ্ধতিগত বেনিয়মে ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি, রাজীবকে মন্ত্রিসভা থেকে সরালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleঅশীতিপর হরিশঙ্করের আবেদনে সাড়া: কালকা হল নেতাজি এক্সপ্রেস