Sunday, August 24, 2025

মেলেনি কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি, ক্ষুব্ধ মাহেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার

Date:

Share post:

দেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্রীরামপুর মাহেশের বাসিন্দা ক্ষিতীশচন্দ্র রায় (Khitish Chandra Roy )। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার এতগুলো বছর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়নি বলে অভিযোগ। ক্ষিতীশবাবুর স্ত্রী ঝর্ণাদেবী (Jharna Debi ) এখনও জীবিত। আর ২০০৫ সালে ক্ষিতীশবাবুর মৃত্যু হয়েছে।

দুই ছেলের মা বৃদ্ধা জানালেন, তার বড় ছেলে শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী। নর্দমা সাফ করার কাজ করেন। অন্য ছেলে অটো চালান। যদিও সেটি তাঁর নিজস্ব নয়।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ (Mymensingh ) জেলার একটি গ্রাম্য স্কুলের শিক্ষক সতীন্দ্রচন্দ্র রায়ের (Satishchandra Roy) পুত্র ক্ষিতীশ ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলের পাঠ শেষ করার পর মেজমামা ধীরেন রায়ের (Dhiren Roy) প্রেরণায় মহাত্মা গান্ধির (Mahatma Gandhi) নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। পরে ১৯৪২ সালের শেষের দিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Roy) নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মিতে (Ina) যোগদান।

পরিবারের সদস্যরা জানালেন, রাজ্য সরকার তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য স্বীকৃতি আজও দেয়নি। অবহেলিত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর।

ক্ষিতীশ রায়ের স্ত্রী ঝর্ণা গৃহদেবতার পুজোর পাশাপাশি স্বামীর ছবিও পুজো করেন। তিনি বলেছেন, ”টাকাপয়সা চাই না। স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার আমার স্বামীকে স্বীকৃতি দিক, শেষ বয়সে এই আমার একমাত্র কামনা।”

আরও পড়ুন:রাজনৈতিক সংঘর্ষে অশান্ত বেলুড়, চলল ‘বোমা-গুলি’

Advt

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...