নাথুলায় লাল ফৌজের সঙ্গে হাতাহাতি, অনুপ্রবেশ রুখলেন ভারতীয় জওয়ানরা

মাত্র একদিন পরেই সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day)। আর তার আগেই ফের সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করল চিন। দু’দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে কার্যত হাতাহাতি চলল বেশ কিছুক্ষণ ধরে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, লাদাখ-গালওয়ানের পর এবার উত্তর সিকিমের (North Sikkim) নাথু-লা সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মির( PLA) সেনারা। তাদের পথ রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় জওয়ানরা। রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে।  তবে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাত তৎপরতায়  একেবারেই ভেস্তে গিয়েছে চিন সেনার অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।

গত বছরের মার্চ মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চলছে চিনা ফৌজের আগ্রাসী পদক্ষেপ। পাল্টা কৌশল  হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পাহাড় চূড়া দখল করে নিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীও। ইতিমধ্যে সীমান্তে সংঘাত এড়াতে ও বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে কোর কমান্ডার স্তরের আট দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি। আর নবম বৈঠকের আবহেই ফের এভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল চিনা সেনা। এদিকে, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারত-চিন নবম দফার বৈঠকেও মিলল না স্পষ্ট রফাসূত্র। এদিন ১৫ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে চিনকে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সীমান্ত থেকে চিনা সেনাকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিও জানান ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা। পাশাপাশি লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা  এলওসি (LOC) বরাবর বেশ কিছু জায়গা নিয়ে যে সমস্যা চলছে, সেগুলো নিয়ে পুনরায় পর্যালোচনার কথাও বলা হয়। রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ  চিনের সেনা দপ্তরে বৈঠক বসেছিল। যা শেষ হয় সোমবার মাঝরাত পর্যন্ত, প্রায় আড়াইটে নাগাদ। ওই বৈঠকেই চিনকে স্পষ্টভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হয়।

Advt

Previous articleতৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন এই বিধায়ক
Next articleএবার কি পদ্ম শিবিরে উত্তরপাড়ার ‘অভিমানী’ বিধায়ক?