মন্ত্রীদের অনুরোধ উৎসাহে বইমেলার মেয়াদ বাড়ল তিনদিন

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে দুই মন্ত্রী যারপরনাই বিস্মিত, আনন্দিত এবং উৎফুল্ল। মানুষের উৎসাহে পুলকিত। তাই মঞ্চে বসেই তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে ও সাংসদ সৌগত রায়ের অনুরোধে বঙ্গীয় প্রকাশক সমন্বয় কমিটির বইমেলার মেয়াদ বাড়ল তিনদিন। শুধু বলাই নয়, এ ব্যাপারে পরিকাঠামোগত সবরকমের সাহায্যের কথাও জানিয়ে দিলেন ত্রয়ী।

মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ইন্দ্রনীল সেন মেলা উদ্বোধনে যখন হৃষিকেশ পার্কে এলেন, তখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জমজমাট। মঞ্চে সাধন পান্ডে, সৌগত রায়, সুবোধ সরকার, প্রচেত গুপ্ত, হিমাদ্রি কিশোর দাশগুপ্ত, সবিতেন্দ্রনাথ রায়, বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় বসু, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমিত রায়, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও চিন্তাবিদ সমর নাগ, পুর জনপ্রতিনিধি দেবাশিস কুমার। এবং অবশ্যই মেলার মেন্টর কুণাল ঘোষ, আহ্বায়ক রূপা মজুমদার এবং চেয়ারম্যান শঙ্কর মণ্ডল।

কেন বইমেলা তার ব্যাখ্যা করে কুণাল ঘোষ বললেন, শীত আসবে, মোয়া, নাড়ু, পীঠে হবে আর বাঙালির বইমেলা হবে না তা হয় না। এটা বাঙালির সংস্কৃতি, কলকাতার ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে প্রকাশক আর বইপ্রেমীদের অদম্য উৎসাহ আর নাছোড় জেদ। ১০ দিনে বইমেলার বাস্তবায়ন। এই বইমেলা অন্য বইমেলা থেকে কেন আলাদা? এই প্রথম সব প্রকাশক ২৫% ছাড় দিচ্ছেন প্রতি বই বিক্রিতে। কীভাবে? যেহেতু স্টলের কাঠামো থেকে সব পরিকাঠামো আয়োজকরা করে দিচ্ছেন, তাই এই অনুরোধ রাখা হয়েছে। প্রকাশকরা সেই অনুরোধ রাখছেন।

মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি এবং পুরো পরিবেশ দেখে অভিভূত। তিনি জানান, বইমেলা উৎসব হোক মুখ্যমন্ত্রীও চান। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলার ৩৪২ টি ব্লকে এই ধরনের ৬১৫ টি বইমেলা- উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ।
মন্ত্রী সাধন পান্ডে বলেন, এখানে এর আগেও এসেছি। কিন্তু আজ এসে বুঝতে পারলাম যে এখানে বইমেলা করা সম্ভব।
সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায় বলেন, বইমেলার সঙ্গে আমাদের নাড়ির যোগ। তাই এই মহামারি পরিস্থিতিতেও যেভাবে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে তা প্রশংসাযোগ্য।
সাংবাদিক লেখক প্রচেত গুপ্ত বলেন, কোভিড কে হারিয়ে দিয়ে কিন্তু শেষপর্যন্ত বইমেলা জয়ী হলো। কবি সুবোধ সরকার বলেন, যথেষ্ট ভাল এই উদ্যোগ এবং তিনটে জিনিস না থাকলে এমন একটি বইমেলার আয়োজন সম্ভব নয়। সাহস ,জেদ, ভালোবাসা আছে বলেই এমন আয়োজন । ভবিষ্যতেও এই বইমেলা এমন উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আয়োজন করা হবে বলে আমি আশা রাখি।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর রীতিমতো ঘন্টা বাজিয়ে এবং বেলুন উড়িয়ে এই বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিশিষ্টরা পুরো বইমেলা চত্বরের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। বইপ্রেমীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে তারা অভিভূত।

Previous articleপুরোনো হাতিয়ারেই আস্থা, ৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু বঙ্গ-বিজেপির ‘রথযাত্রা’
Next articleশুক্রবার গোয়ার বিরুদ্ধে তিন পয়েনটের লক্ষ‍্যে মাঠে নামছে লাল-হলুদ ব্রিগেড