কাঁথির সভায় জনবিস্ফোরণ: শুভেন্দুকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ অভিষেকের

প্রত্যয়ী অভিষেক। কাঁথিতে ভাষণে প্রথম থেকেই তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন বিজেপি (Bjp) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) এবং তাঁর পরিবার। ঝাঁঝালো ভাষায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল (Tmc) সাংসদ। দুর্নীতি থেকে শুরু করে তোলাবাজি, পরিবারতন্ত্র প্রত্যেকটা বিষয় নিয়েই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক।

মেদিনীপুরে মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রথমেই সেখানকার মনীষীদের স্মরণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Benarjee)। বলেন, এই মাটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাটি অথচ এখানেকার ভূমিপুত্র বলে নিজেকে দাবি করার পরেও যাঁরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে শুভেন্দু তাঁদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।

মাতঙ্গিনী হাজরার (Matangini Hazra) প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারতছাড়ো আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য নাম ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা। সেই আন্দোলনকে সন্ত্রাসবিরোধী আখ্যা দিয়ে ইংরেজদের আন্দোলন ভাঙার পরামর্শ দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyamaprasad Mukharjee)। আর তাঁকেই আদর্শ মনে করে যারা, নিজের পিঠ বাঁচাতে শুভেন্দু সেই বিজেপিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

স্পষ্টভাষায় অভিষেক বলেন, “বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি যা করার করে নাও”। একইসঙ্গে উপস্থিত জনগণের প্রতি অভিষেক বলেন, “এমন আওয়াজ তুলুন যাতে শান্তিকুঞ্জ থরথর করে কাঁপে”। শান্তিকুঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর নিবাস।

মেদিনীপুরের (Midnapur) মানুষকে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এবার আপনাদের ওপর গুরুদায়িত্ব। আপনারাই এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন”। দুই মেদিনীপুর মিলে ১৬ টি আসনেই তৃনমূল যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অভিষেক।

শনিবার, কাঁথির (Kanthi) জনসভা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বিপুল জনজোয়ার অভিষেকের সভায়। যা দেখে প্রথমেই যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, “কাঁথির জনসভায় বৈপ্লবিক জন বিস্ফোরণ। এই পরিমাণ লোক ভোট বাক্স তৃণমূলে ভোট দিলে ‘মীরজাফর’ জামানাত জব্দ হবে”।

এদিনে জনসভা থেকে অভিষেকের বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আগামী নির্বাচনে আড়াইশো বেশি আসন পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) মুখ্যমন্ত্রী করবে। আর শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই মেদিনীপুরের মাটিতে যেখান থেকেই তিনি দাঁড়াবেন, তাঁকে ৫০  হাজার ভোটে মানুষ হারাবে। স্পষ্ট ভাষায় তীব্র আক্রমণ কাঁথিতে অধিকারী গড়ের মিথ প্রায় ভেঙে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি নিজেই বলেছেন, “আমি অভিনেতা নই তাই যা বলার তা স্পষ্টই বলি”। এদিন অভিষেকের সভায় শুধু যে উপচে পড়া ভিড় ছিল তাই নয়, তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে ছিল জনতার সমর্থন। তিনি যখনই  শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন, তখনই আওয়াজ উঠেছে গদ্দার। অভিষেকের সব কথাতেই ছিল জনতার সমর্থন।

আরও পড়ুন: ৫০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ, জলকামান নিয়ে কৃষকদের ‘চাক্কা জ্যাম’-এর মোকাবিলায় পুলিশ

Advt

Previous article৫০ হাজার সশস্ত্র বাহিনী, জলকামান নিয়ে কৃষকদের ‘চাক্কা জ্যাম’-এর মোকাবিলায় পুলিশ
Next articleমমতার সঙ্গেই টলিউড, ফের একঝাঁক তারকার তৃণমূলে যোগদান