৫০ হাজার সশস্ত্র বাহিনী, জলকামান নিয়ে কৃষকদের ‘চাক্কা জ্যাম’-এর মোকাবিলায় পুলিশ

প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া হিংসার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। কৃষকদের চাক্কা জ্যাম পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। আর তা যাতে সীমার বাইরে না যায় তার জন্য শনিবার সকাল থেকেই  প্রস্তুত  ছিল দিল্লি পুলিশ ৷ আজ আন্দোলনকারী কৃষকদের চাক্কা জ্যাম(Chakka Jaam) উপলক্ষ্যে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। দিল্লি সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও আন্দোলনকারী ঢুকতে না পারে তার জন্যে মোতায়েন করা হয়েছিল ৫০,০০০ পুলিস কর্মী, জলকামান, দোওয়া হয়েছে কাঁটাকাদের বেড়া,মাটি খুঁড়ে সেখানে লোহার শিক পুঁতে কৃষকদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ছিল পর্যাপ্ত জলকামানও। রাজধানীর ১২টি মেট্রো স্টেশনে বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। শনিবার  সকাল থেকেই   আন্দোলনকারী কৃষকদের দেশজোড়া ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছিল চরমে ৷ চাক্কা  জ্যাম কর্মসূচি ঘিরে যাতে  হিংসা না ছড়ায়, সেই চেষ্টায়  কোনো খামতি রাখেনি দিল্লি পুলিশ। দিল্লির উপকণ্ঠে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০ হাজার পুলিশকর্মী। গণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে অশান্তির পর আর কোনও ঝুঁকি নিতেই রাজি ছিল না দিল্লি পুলিশ। ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন, ‘এই কর্মসূচিতে অ্যাম্বুলান্স, স্কুলের গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়লে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে’।

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি  পালিত হয় শনিবার। তবে এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছিল উত্তপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও দিল্লিকে। শুক্রবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়। তবে দিল্লির বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে কৃষকদের ‘চাক্কা জ্যাম’ পালন করতে আর্জি জানিয়েছেন কৃষক মোর্চাকৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ-আন্দোলন জারি থাকলেও, রাজধানীতে রাস্তা অবরুদ্ধ করে চাক্কা জ্যামের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল কৃষক সংগঠন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, কিছু লোক এই চাক্কা জ্যামকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়াতে পারে। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে রাস্তা অবরুদ্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠন। তবে আজ দেশজুড়ে পালিত হবে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত চলবে চাক্কা জ্যাম। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক সংগঠনের এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস।

Advt

 

 

 

 

Previous articleশততম টেস্টে দ্বিশতরান রুটের
Next articleকাঁথির সভায় জনবিস্ফোরণ: শুভেন্দুকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ অভিষেকের