জোড়াবাগান কাণ্ড, দারোয়ানকে ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

জোড়াবাগানের এই আবাসন উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ।

জোড়াবাগান কাণ্ডে ধৃত দারোয়ান লম্বুকে ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সূত্রের খবর, তাঁর বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ। এমন নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে কীভাবে শান্ত ছিলেন দারোয়ান রাম কুমার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার জোড়াবাগানের পাঁপড়গলি একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় ৯ বছরের ওই নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ। ভাঙাচোরা এক বহুতলের সিড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছোট্ট মেয়েটির উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। বুধবার বিকেলে ‘খেলতে যাচ্ছি’ বলেই দিদার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল শিশুটি। তারপর আর ফেরেনি সে। এরপর ওই দারোয়ান বিরিয়ানি এবং চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পাশপাশি তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছ বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলায় কোপ অবধি মারা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা শোভাবাজারে থাকত। তার বাবা ওই এলাকায় বস্তা সরবরাহের কাজ করেন। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, তিন ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল সে। ওই দিন সে দিদির হাত ধরে মামাবাড়িতে ঘুরতে যায়। বিকেলবেলা খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় সে। রাতে পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। আর তারপরেই তাঁর সঙ্গে ঘটে এমন নারকীয় ঘটনা।

এই ঘটনায় প্রথমে জোড়াবাগান থানা তদন্ত শুরু করলেও, পরে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা ওই তদন্তের দায়িত্বভার নেয়। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় বাড়ির দারোয়ানের কথায় অসংগতি চোখে পড়ায় তাকে আটক করে পুলিশ। লাগাতার জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। ফরেনসিক দলের প্রাথমিক রিপোর্টেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ মেলে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃতের স্মার্টফোনে একাধিক ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’-র ভিডিও মিলেছে।

আরও পড়ুন-মোদি সরকারের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে ফের আত্মঘাতী এক কৃষক

Advt

Previous articleকরোনা ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যকর্মীরাই, চিন্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
Next articleপ্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই উত্তপ্ত হলদিয়া, ছেঁড়া হল ফ্লেক্স, কোথাও বাসে ইটবৃষ্টি