উত্তরাখণ্ডের তুষারধস : ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ শতাধিক

ভয়াবহ অবস্থা উত্তরাখণ্ডের। রবিবার চামোলি হিমবাহে ফাটল ও ধস নামার ঘটনাটি ৮ বছর আগের কেদারনাথের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত মোটা ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৭০ জন। তপোবন লাগোয়া এলাকার সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছেন যাঁরা, তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।

ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তপোবন এলাকার ‘ন্যাশনাল পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড’ সংলগ্ন এলাকা থেকে আটজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইটিবিপির মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চলছে। সেখানে প্রায় ৩০ জন আটকে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ৩০০ জনের মতো আইটিবিপি জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও ১৭০ জনের মতো মানুষের খোঁজ মিলছে না।

উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজি অশোক কুমার জানিয়েছেন, এখনও ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তপোবন থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্ণপ্রয়াগের দিকে আরও সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার তপোবনের ছোটো সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জলস্রোতের কারণে যে বড় সুড়ঙ্গগুলির মুখ বুজে গিয়েছে, সেগুলি খোলার চেষ্টা চলছে।

চামোলি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮০ টি ভেড়া এবং ছাগল ভেসে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই মহিলা-সহ পাঁচ স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। হিমবাহে ফাটল ধরার ফলে পাহাড়ের তলদেশের বাড়ি ও বসতি প্রায় ভেসে গিয়েছে। আইটিবিপি-র এক মুখপাত্র বলেছেন, রেনি গ্রামের কাছে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে কয়েকটি সীমান্ত পোস্টও ভেসে গিয়েছে যেগুলি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ড তুষারধস: রুদ্ধশ্বাস উদ্ধারকার্যে বাঁচল ১৬ প্রাণ, এখনও নিখোঁজ ১৭০

Advt

Previous articleবিরোধীরা ঠাট্টা করলেও ‘করোনা যুদ্ধে’ বিশ্বের ভরসা ভারত: রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী
Next article‘আন্দোলন বন্ধ করুন’, কৃষকদের কাছে আলোচনায় সমস্যা মেটানোর আর্জি প্রধানমন্ত্রীর