কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, প্যানেলের বাইরের হাসপাতালেও মিলবে মেডিক্লেম: শীর্ষ আদালত

শুধু প্যানেলের মধ্যে থাকা নয়, বাইরে থাকা হাসপাতালেও মিলবে মেডিক্লেম। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে এমনই রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনারদের পক্ষে এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের চিকিৎসার সুযোগটি সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। এর অর্থ হল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনাররা সিজিএইচএস প্যানেলের বাইরের হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা সিজিএইচএসের মতোই সুবিধা পাবেন।

একজন অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল বিল পরিশোধের দাবি করেছিলেন। কিন্তু তিনি সিজিএইচএস প্যানেলের বাইরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোয় কেন্দ্রীয় সরকার মেডিক্লেমটি দিতে অস্বীকার করে। এই থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।  বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। জল এতটাই গড়িয়েছে যে ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে যায়। এরপরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে সিজিএইচএস প্যানেলের বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য মেডিক্লেম সরবরাহ করা উচিত।

মনে করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের সমস্যা দূর করবে। কারণ গুরুতর অসুস্থতার জন্য অনেকসময় রোগীকে সিজিএইচএসের প্যানেলের বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। কিন্তু তাঁরা এসব ক্ষেত্রে মেডিক্লেম পান না। এরপর থেকে এ ধরনের কোনো ঘটনায় কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুশির হাওয়া তাদের মনে।  এতদিন যাঁরা প্যানেলের বাইরে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁরা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম (Central Government Health Scheme) বা সিজিএইচএস (CGHS) এর সুবিধা পাননি। তবে এরকম আর হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত সিজিএইচএস বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্প হিসাবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের যাতে চিকিৎসার জন্য ঘুরে বেড়াতে না হয়, সে জন্য এই স্কিমটি শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত। কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা গত প্রায় ৬০ বছর ধরে এই প্রকল্পটি থেকে উপকৃত হচ্ছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এই স্কিমটিতে পরিবর্তনও করা হয়েছে যাতে কর্মচারীরা পুরো সুবিধা পেতে পারেন।

Advt

Previous articleএ বছরের মতো কলকাতা থেকে বিদায় নিল শীত
Next articleকোহলিদের দুঃসময়! ইংল‍্যান্ড সিরিজে পাওয়া যাবে না জাদেজাকে