ফের বিপর্যয়ের আশঙ্কা উত্তরাখণ্ডে, ‘বিপজ্জনক’ হ্রদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে উদ্বেগ

উত্তরাখণ্ডে এখনও কাটেনি বিপদ। যে কোনও মূহুর্তে ‘বিপজ্জনক’ হ্রদের দেওয়াল ভেঙে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এমনই আশঙ্কা করেছেন ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর বিজ্ঞানীরা।

স্যাটেলাইটে ধরা পড়া চিত্রতে দেখা গিয়েছে ঋষিগঙ্গা নদীর (Rishiganga river) গতিপথে তৈরি হয়েছে বিপজ্জনক একটি হ্রদ। সেই হ্রদের দেওয়াল ভেঙে ফের নেমে আসতে পারে ভয়ানক জলস্রোত। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। তবে দ্বিতীয় বিপর্যয় এড়াতে পর্যবেক্ষণ, পরিকল্পনা ও সাবধানতা নিয়ে কাজ করছে এনডিআরএফসহ অন্যান্য বাহিনী।

এখনও এনডিআরএফের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নতুন হ্রদ। শুক্রবার সকাল থেকেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিস্থিতি। হ্রদের উপর দিয়ে হেলিকপ্টার ড্রোন উড়িয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে তার অবস্থান। হ্রদটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা, তার দেওয়ালের জলের চাপ নিতে পারার ক্ষমতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনডিআরএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধানের কথায়, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরো পরিস্থিতিটা বুঝে নেওয়ার পরে তবেই কী করণীয় তা স্থির করা হবে। আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছি।”

আরও পড়ুন-মোদির ‘আন্দোলনজীবী’র প্রত্যুত্তরে রাম মন্দির আন্দোলনের প্রসঙ্গ টানলেন টিকাইত

উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে হ্রদটি তৈরি হয়েছে। এই ঋষিগঙ্গা আবার খরস্রোতা রনতি নদীর জলধারায় পুষ্ট। এই দুই নদীর জলের মিলিত ধারা নেমে এসে তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে ঋষিগঙ্গার গতিপথে বাধার সৃষ্টি করেছে ওই হ্রদ। তাতে জলের পরিমাণ প্রচুর বেড়ে গেলে তার দেওয়ালে ব্যাপক চাপ পড়বে। সেই চাপে হ্রদের দেওয়াল ভেঙে গেলে বিপুল জলরাশি একসঙ্গে প্রবল বেগে ধেয়ে আসবে হড়পা বানের আকারে। তাতে ফের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ। ঋষিগঙ্গা নদীর জল ফের বাড়তে শুরু করাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে এই হ্রদের উৎপত্তি ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ।

Advt