এবার সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে তৃণমূল (TMC)৷ বর্তমানকালে সোশ্যাল মিডিয়ার ( Social Media) প্রভাব অসীম৷ তাই একুশের ভোটে এই মাধ্যমকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির৷ কলকাতায় এসে দলের আইটি সেলের কর্মীদের সাথে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এবার পাল্টা দিতে ভোটের লড়াইয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই প্রচারের কাজে নামছে তৃণমূল৷

এই লক্ষ্যেই শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দলের আইটি সেলের (IT cell) কর্মীদের প্রশিক্ষণ। শুক্রবার উত্তর কলকাতার (North Kolkata) কর্মীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া- প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে এক প্রেক্ষাগৃহে৷ আজ, শনিবার হবে দক্ষিণ কলকাতায় ( South Kolkata)।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভা কেন্দ্রেই হবে এই প্রশিক্ষণ। বিধানসভা ভোটের প্রচারে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করতে হবে, তার প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে।ইতিমধ্যেই দলের মিডিয়া সেলের মাধ্যমে প্রতিদিন রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হচ্ছে। জাতীয় ও স্থানীয় ক্ষেত্রের নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা এবং অবস্থানও জানানো হচ্ছে। কিন্তু এই প্রচেষ্টা অনেক সময়ই ধাক্কা খাচ্ছে৷ রোজই নানা ইস্যুতে বিজেপি যে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে চলেছে, তার সঙ্গে অনেক সময়েই পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে শাসক-শিবির। তাই এবার পেশাদারি মনোভাবে সামাজিক মাধ্যমকে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেটাই বোঝানো হচ্ছে এই শিবিরে৷

বর্তমানে রাজ্যের তৃণমূল বিধায়কদের প্রায় সবারই ফেসবুক ও ট্যুইটারে অ্যাকাউন্ট আছে। কিন্তু অনেকেই ট্যুইটারে সেভাবে স্বচ্ছন্দ নন। অনেকের আবার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলেও তা ব্যবহার করতে চান না বা পোস্ট করতে গাফিলতি করেন৷ ফলে বহু ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছেন তারা। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এবার সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম প্রচার মাধ্যম হয়ে উঠতে চলেছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল।

শুক্রবারের শিবিরে বলা হয়েছে, সব বিধানসভা আসনের জন্য তৃণমূলের ফেসবুক পেজ বাধ্যতামূলক। সেখানে ক্রমাগত প্রচার চালানো হবে। দলীয় বিধায়করা তার এলাকায় কি কি কাজ করেছেন তার লাগাতার প্রচার চলবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ বলা হয়েছে, শালীনতা বজায় রেখেই চলবে প্রচার। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এগোবে দল।
আরও পড়ুন:এলোপাথাড়ি গুলি চলল রোহতকের কলেজে, মৃত ৫
